নিজস্ব প্রতিনিধি: বুথে বুথে লম্বা লাইন। কিন্তু সেই লাইন এগোচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। কোথাও কোথাও ভোট শুরু হতেই সকাল ৮টা বা সাড়ে ৮টা বেজে গিয়েছে। নেপথ্যে ইভিএম বিভ্রাট। আর তাই গত ১৯ এপ্রিল অষ্টাদশ লোকসভার(Loksabha Election 2024) প্রথম দফার নির্বাচনে বাংলার(Bengal) ৩ লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম ২ ঘন্টায় যেখানে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল, এদিন তা কার্যত তার অর্ধেক রেকর্ড হল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলার ৩ লোকসভা কেন্দ্র – দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে গড় ভোটদানের হার(Polling Percentage) ১৫.৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রায়গঞ্জে। সেখানে ভোটদানের হার ১৬.৪৬ শতাংশ। সকাল ৯টা পর্যন্ত দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৫.৭৪ শতাংশ। আর বালুরঘাটে ভোটদানের হার ১৪.৭৪ শতাংশ। ভোটারদের দাবি(Voters Demanding), ভোট দান যাতে কম হয় তার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ইভিএম বিভ্রাটের(EVM Manipulation) ছক করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বুথে বুথে খারাপ ইভিএম পাঠানো হয়েছে, যাতে দেরীতে ভোট গ্রহণ শুরু হয় আর ভোটাররা এই গরমে বিরক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে চলে যান।
ঘটনাচক্রে ভোটারদের এই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। এই অভিযোগ যে ফেলনা নয় সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে কমিশনের কাছে জমা পড়া অভিযোগের জেরে। কেননা প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে আড়াইশোর মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ অভিযোগই ইভিএমকে কেন্দ্র করে। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয়, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটদানের দিনের মতোই এদিনও অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল দেশের মধ্যে ভোটদানের হারে ফের অনেকটাই এগিয়ে থাকছে বাংলাই। কেননা সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের ৮৭টি লোকসভা কেন্দ্রে যেখানে গড়ে ৯.৩ শতাংশ ভোট পড়েছে সেখানে বাংলায় সেই হার ১৫ শতাংশেরও বেশি। যদিও ত্রিপুরা বাংলার থেকেও এগিয়ে আছে। কিন্তু বাংলার বুকে এই পরিসংখ্যান রীতিমত টেনশানে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। তুলনায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। তাঁরা তো রীতিমতো প্রকাশ্যেই বুক ঠুকে দাবি করছেন, ইভিএমে কারচুপি করা না থাকলে এবারে কেন্দ্রের ক্ষমতার অলিন্দে পরিবর্তন কেউ ঠেকাতে পারবে না।