নিজস্ব প্রতিনিধি: যা ঘটে তার কিছু তো রটে, নাকি যা রটে তার কিছু তো ঘটে! দাবি যাই হোক না কেন, দ্বন্দ্ব যে লেগেছে অন্দরে সেটা আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সূত্রের দাবি, বঙ্গের বুকে ৩৪ বছর ধরে অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো লাল পার্টির(CPIM) শ্রমিক সংগঠন CITU’র অন্দরে নাকি ঘোর ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই ডামাডোলের স্রোত নাকি পৌঁছে গিয়েছে সংগঠনের রাজ্য কমিটিতেও। আর সেই কারণেই নাকি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়(Subhash Mukherjee), যিনি কিনা CITU’র রাজ্য সভাপতি। যদিও সুভাষ নিজে তা প্রকাশ্যে অস্বীকারই করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এ সব একেবারে ভুল কথা! কারা যে রটায় কে জানে!’ যদিও লালপার্টির অনেক নেতাই ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করেই নিচ্ছেন, বনিবনার অভাবের কারণে বঙ্গে CITU’র রাজ্য কমিটিতে ডামাডোল চূড়ান্ত আকার ধারন করেছে। আর সেই ঘটনার জেরে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দলের রাজ্য কমিটিকেও।
সূত্রের দাবি, সুভাষ নাকি পদত্যাগ করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সিপিএমের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপে তখনকার মতোন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। সেটা মাস ৬ আগের কথাই। কিন্তু এখন আবার বিবাদ চরমে উঠেছে। এবার যদি সুভাষ সরে দাঁড়ান তাহলে নতুন মুখ তুলে আনা ভিন্ন রাস্তা খোলা নেই আলিমুদ্দিনের কাছে। এমতাবস্থায় সুভাষকে বলা হয়েছে, পরের বছর সিটুর রাজ্য সম্মেলন। সেই মঞ্চ থেকেই তিনি ‘সসম্মানে’ সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিন। এখনই তিনি যেন ওই সিদ্ধান্ত না নেন। যদিও সুভাষ নিজেও ক্ষুব্ধ দলের ওপর। কেন? লালপার্টির নেতাদের দাবি, সুভাষের রাগ-ক্ষোভ অনেক পুরনো। তিনি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হলেও বয়সবিধির কারণে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য নন। এমনকি, রাজ্য সিপিএমের ট্রেড ইউনিয়ন সাব কমিটিরও তিনি ‘স্থায়ী সদস্য’ নন। সেখানেও তিনি ‘আমন্ত্রিত’। এ নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিক বার তাঁর উষ্মার কথা জানিয়েছেন সুভাষ।