নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার রাজ্যপালকে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে সরানোর আবেদন জানিয়েছেন বলে জানালেন তৃণমূল সাংসদ। একইসঙ্গে ‘রাজ্যপাল লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করেন’ বলে জানান তিনি।
বুধবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। রাজ্যপাল পদের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার সেই একই সুর শোনা গেল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে সরাতে আবেদন জানিয়েছি’। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেছেন রাজ্যপাল’। এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজ্যপাল কীসের জন্য, কীসের জন্য তাঁকে ঘিরে এত হাতি পোষার খরচ? হাতিকে পুষলে তবু ভালো। হাতিকে পুষলে তবু ভালো সার্কাসে কিছু পাওয়া যায়। একে পুষে তো কিছু লাভ হচ্ছে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেন রাজ্যপাল’। তাঁর আরও সংযোজন, ‘লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করেন, আমাকেও ফোন করেছিলেন, ফোনে তিনি বলেন, আপনার সঙ্গে কথা বলতে দেখা করতে চাই। আমি রাজ্যপালের কথা শুনে ফোন রেখে দিয়েছি’।
উল্লেখ্য রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজ্যের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন। রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত বার বার দেখা গিয়েছে। বুধবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়েও রাজযের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন,”শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দেশভাগের চক্রান্তকে প্রতিহত করেছিলেন। কিন্তু আজ বাংলার ভাগ্যাকাশে ফের সংকটের কালো মেঘ। তুষ্টিকরণের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। ভারতের সংবিধান নিরপেক্ষ এবং সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করে। ন্যায়বিচারের কথা বলে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই নীতি মানলেও এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন।” বস্তুত রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের পর শাসকদলের তরফে একের পর এক পাল্টা মন্তব্য করা হয়।