নিজস্ব প্রতিনিধি: দোলের দুপুরে কলকাতার(Kolkata) রিজেন্ট পার্কে(Regent Park) আত্মীয়ের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন(Murder) হন পেশায় বাদাম বিক্রেতা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা দিলীপ চৌহান(Dilip Chouhan)। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার দুপুরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা থেকে গ্রেফতার করে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুজিত মল্লিককে(Sujit Mallik)। দোলের দিন সকালে দিলীপের প্রতিবেশী সুজিতের বাড়িতে মদ্যপানের আসর বসেছিল। সেখানে দিলীপ সহ তাঁদের আরও কয়েকজন বন্ধু ছিল। অভিযোগ, সেখানেই মদ্যপ অবস্থায় দিলীপ সুজিতের বউকে রঙ মাখানোর অছিলায় শ্লীলতাহানি করার পাশাপাশি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। সেই ঘটনায় সুজিতের সঙ্গে দিলীপের বিবাদ চরমে উঠলে বন্ধুরা সাময়িক ভাবে তা থামিয়ে দেয়। কিন্তু সেদিন দুপুরেই সুজিত হুট করে দিলীপের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে গা ঢাকা দেয়। এখন পুলিশ সুজিতকে জেরা করে সেই আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। সুজিত নাকি বিগত ৫-৬ বছর ধরেই নিজের সঙ্গে বন্দুক রাখত।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সুজিতের সন্ধান মিলতে কার্যত হিমসিম খায়। কেননা সুজিত তার মোবাইল বন্ধ করে রেখে দিয়েছিল। কিন্তু এলাকার নানা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে তার গতিবিধি। তার জেরেই পুলিশ বুঝতে পারে সুজিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় গা ঢাকা দিতে চাইছে। সেই মতো লালবাজার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ফলতার এক বাগানবাড়ি থেকে শনিবার দুপুরেই গ্রেফতার হয় সুজিত। এদিন তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ অবশ্য এদিন সকালেই তাকে জেরা করে জানতে পারে সুজিত গত ৫-৬ বছর ধরে নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখছিল। মাছের ভেড়িতে কাজ করার সূত্রে দেশি বন্দুক ছিল তাঁর কাছে। সেই বন্দুক থেকেই সে গুলি করে খুন করে দিলীপকে। পাশাপাশি জেরায় সে পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আর শুধু রং মাখানোর জন্য দিলীপকে সে খুন করেনি, দিলীপ তাঁর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। মদ খেয়ে তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করার কারণেই দিলীপকে খুন করেছে সে।