নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের নির্বাচনে রামধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্যের রাজনীতির পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে এখনও হাঁপাচ্ছে বিজেপি। তার মাঝেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন সহ আরও সাত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এর মাঝেই কলকাতা পুরভোট ‘লজ্জাজনক’ হারের ধাক্কা সামলাতে না পেরে নতুন দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে যে হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মাঝেই বড়দিন সহ বাকি উৎসবে মানুষের ভিড়ে লাগামছাড়া করোনা। সঙ্গে রয়েছে ওমিক্রনের কাঁটা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করুক এই পরিস্থিতিতে ভোট কী করা যায়? তাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে মত নেওয়া উচিত আদৌ ২২ জানুয়ারি ভোট করা যায় কিনা।’
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতামত করোনা শুধুমাত্র ঢাল বিজেপির কাছে। এই মুহূর্তে চার পুরসভা অর্থাৎ আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর এই চার পুরসভায় ২২৭ টি ওয়ার্ডে সংগঠন প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যেই সদ্য বিজেপির রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি গড়ার জন্য দলের মধ্যেই অন্তদ্বন্দ শুরু হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে চার পুরসভায় ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশন করালে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপি। তাই করোনাকে ঢাল করেই রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি আগেভাগেই করলেন সুকান্ত মজুমদার।
এমনিতেই পাঁকে পড়ে থাকা রাজ্য বিজেপিকে টেনে তুলতে ও সংগঠনে মন দিতে ভোকাল টনিক দিচ্ছেন অমিত মালব্য। দলকে চাঙ্গা করতে টোটকা দিচ্ছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ রাও। এর মাঝেই একাধিক নির্বাচনে শোচনীয় ফল আর মেনে নিতে না পেরেই আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ‘কাঁদুনি’ আগেভাগেই গেয়ে রাখলেন সুকান্ত মজুমদার।