নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১ জুন সপ্তম তথা অন্তিম দফায় ভোট হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনে। আর ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে আগামী শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৪ সালে প্রয়াত সোমেন মিত্রের পরিবর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবারেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। সেবার সিপিএমের দাপুটে নেতা আবুল হাসনাতকে ৭১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দ্বিতীয়বার ঘাসফুলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান। আর সেবার বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়কে তিন লক্ষ ২১ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ-তুর্কি নেতা। ডায়মণ্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসন। ওই সাত বিধানসভা আসন হল ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, মহেশতলা, বজবজ ও মেটিয়াবুরুজ। সাত আসনই ঘাসফুল শিবিরের দখলে। শুধু তাই নয়, এলাকার উন্নয়নে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ফলে তাঁর জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গতবারের তুলনায় জয়ের ব্যবধান যাতে বাড়ে সেই লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। সাংসদ হিসাবে জয়ের হ্যাটট্রিক করার লক্ষ্য নিয়ে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত শুভদিন হিসাবে পরিচিত অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে অভিষেকের সঙ্গে তাঁর এলাকার সাত বিধায়কও থাকবেন। প্রস্তাবক হিসাবে থাকবেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। কালীঘাটের দফতর থেকে শোভাযাত্রা নিয়েই আলিপুরের জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছবেন অভিষেক।