নিজস্ব প্রতিনিধি: ছোট লালবাড়ি দখলের ভোটযুদ্ধে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তার কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে যেতে বসেছে বিরোধীরা। অন্তত শাসকদলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৩৮টি ওয়ার্ডে জয় পেতে পারেন দলীয় প্রার্থীরা। বাকি ছয়টি ওয়ার্ড ভাগাভাগি করে জিততে পারে নির্দল, বিজেপি ও কংগ্রেস। লোকসভা, বিধানসভার মতো কলকাতার পুরভোটেও শূন্যহাতে ফিরতে পারে সিপিএম সহ বামফ্রন্ট।
সাড়ে ছয় বছর আগে ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার ভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টি আসনে জয়ী হয়ে ছোট লালবাড়ি দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। বিজেপি জিতেছিল ৭টি ওয়ার্ডে আর কংগ্রেস জিতেছিল পাঁচটি ওয়ার্ডে। তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। ভোটের পরে বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। নির্দল প্রার্থীরাও এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে নাম লিখিয়েছিলেন শাসক শিবিরে। তৃণমূলের শক্তি বেড়ে হয়েছিল ১২৬।
চার বছর বাদে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অবশ্য কলকাতা শহরে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু ছয় মাস আগে বিধানসভা ভোটে হারানো জমি অনেকটাই পুনুরুদ্ধার করতে পেরেছিল শাসকদল। ১৩২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপি ১১টি এবং কংগ্রেস একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। পরে ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে থাকা দুটি ওয়ার্ড ৭০ ও ৭৪ নম্বরে ফের এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ বিধানসভার ভোটের নিরিখে ১৩৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু শাসকদলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৮টি ওয়ার্ডে জেতার মতো জায়গায় রয়েছে দল। শুধু তাই নয়, ৫২ থেকে ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত ভোটও জমা পড়তে চলেছে দলের ভোটবাক্সের ঝুলিতে। নিরঙ্কুশ জয় যেহেতু হাতের মুঠোয় তাই ভোট ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য শনিবারই দলীয় প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।