এই মুহূর্তে




‘টলিগঞ্জের বাবু-বিবিরা ভাবমূর্তি গড়তে ব্যস্ত, তৃণমূলের কথা ভাবে না’, বিস্ফোরক কুণাল

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি দলে ঠিক কোন পদে আছেন, তা নিয়ে রহস্য জিইয়ে রয়েছে। কিন্তু দলের হয়ে নিয়মিত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাটন ধরতে নিয়মিত ভাবে দেখা যাচ্ছে। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালেও যেমনটি তিনি ফেসবুকে পোস্ট(Facebook Post) করে অনেক কিছু না বলা কথা বলে গেলেন। আর সেই সব কথার জেরেই এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল(TMC) ঘনিষ্ঠ টলি তারকারা(Tollywood Stars)। কেননা যিনি পোস্ট করেছেন তিনি আর কেউ নন, কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। আর তাঁর পোস্টে তিনি সাফ লিখেছেন, টলিগঞ্জের বাবু-বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ভাবমূর্তি গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। জনমানসে তৃণমূলের পক্ষে ‘সদর্থক বার্তা’ দেওয়ার কথাও টালিগঞ্জ ভাবে না।

আরও পড়ুন, Caste Census’র পথে হাঁটতে পারে মোদি সরকার, নেপথ্যে শরিকদের চাপ

ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? এদিন ফেসবুকে কুণাল লিখেছেন, ‘আফসোস লাগে। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যারা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না। বরং টেকনিসিয়ানরা অনেক বেশি দরদী। এরা অনেক বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু এদের অনেকেই দলের বোঝা। দলের সুসময়ে এরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। একটু বিতর্কিত ইস্যুতে দল পড়লেই এরা মুখ খোলা বন্ধ করেন। সামনে থেকে মানুষকে বোঝানোর কাজে এদের পাওয়া যায় না। দল না বললে কর্মসূচি, টুইটেও পাওয়া যায় না। এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এরা জানেন না? অথচ এরা তার পাল্টা কিছু করবেন না, করতে চাইবেন না। এদের কেউ কেউ আন্তরিক। বাকি ক্ষমতাশালী তারকাদের নিয়ে দল ভাবুক।’

আরও পড়ুন, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে মামলা দুর্বল করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে, দাবি সিবিআইয়ের

কুণালের এই পোস্ট ঘিরেই তৃণমূলের অন্দরের পাশাপাশি টলি পাড়াতেও রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে। কুণাল তাঁর পোস্টে যে ছবির কথা বলেছেন তা হল – The Diary of West Bengal নামের একটি হিন্দি সিনেমা যা পরিচালনা করেছেন সনোজকুমার মিশ্র। এদিনই সিনেমাটি এ রাজ্যে মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটির মুক্তি আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। কিন্তু আদালত ছবি মুক্তিতে হস্তক্ষেপ করেনি। এ বার ওই ছবির প্রসঙ্গে কলকাতার সিনেমাপাড়ার কলাকুশলীদের কুণালের একহাত নেওয়া এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে সর্বত্র। সনোজকুমারের ছবিটি নিয়ে মূল অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) ভাবমূর্তি খারাপ করার উদ্দেশ্যে ওই ছবি তৈরি করা হয়েছে। কুণালও সে কথাই বলেছেন। সেই সঙ্গে টালিগঞ্জের কিছু শিল্পীকে পরোক্ষে সুবিধাবাদী বললেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, প্রয়োজনের সময়ে ওই শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পাশে থাকেন, হাত নেড়ে ছবি তোলেন। কিন্তু শাসকদলের দুঃসময়ে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তৃণমূলের বিভিন্ন সভায় মঞ্চে টালিগঞ্জের অনেক তারকাকেই থাকতে দেখা যায়। কয়েক জন তো দলের টিকিটে ভোটেও জিতেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কারা বা কে কে ‘দলের বোঝা’ হয়ে উঠেছেন!




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

 আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত কত দিনে শেষ হবে? সদুত্তর দিতে পারল না সিবিআই

বর্ধমান রাজবাড়িতে জোরকদমে চলছে হিন্দি ধারাবাহিকের শুটিং

স্বস্তি কুণাল কামরার, ৭ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

আরজি করে ‘গণধর্ষণ’ হয়নি, হাইকোর্টে ফের জানাল CBI

দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন ‘কুমকুম ভাগ্য’-খ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী

এবার ৪,২০০ কোটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে অমর পট্টনায়েক, প্রকাশ্যে ‘Raid 2’-এর টিজার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর