নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় চার মাস আগে কলেজ যাওয়ার পথে নিখোঁজ দুই তরুণী। মেয়েদের খুঁজে পেতে থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা। কিন্তু চার মাস হয়ে গেলেও মেয়েদের কনও হদিশ পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাঁদেরকে খুঁজে দিতে পারেনি বলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তরুণীর বাবা।
ঘটনাটি চার মাস আগে গত এপ্রিল মাসের। পূর্ব বর্ধমান জেলার বাজেপ্রতাপপুরের বাসিন্দা দুই কলেজ পড়ুয়া তরুণী গত ১২ এপ্রিল নিখোঁজ হন। ওইদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি ঘরে। ১২ এপ্রিল সকাল ৯টা নাগাদ ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী এবং ২০ বছর বয়সী আরেক তরুণী কলেজ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় দুই তরুণী বাড়ি না ফেরায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণীর বাবা। পুলিশ তরুণীর বাবাকে পরামর্শ দেয় হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকায় ভালো করে খোঁজ নেওয়ার জন্য। পুলিশের কথা মত তিনি হাসপাতাল ও অন্যান্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিশ না পাওয়ায় আবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর ১৩ এপ্রিল বর্ধমান থানায় ‘মিসিং ডায়েরি’ করা হয়।
নিখোঁজ হওয়া তরুণীর বাবার দাবি, নিখোঁজ হওয়ার এক মাস হয়ে গেলেও দুই তরুণীর কোনও খোঁজ না মেলায় ১২ মে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এর মাঝে একদিন আচমকা একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে বলে জানান তরুণীর বাবা। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে মেয়ের কন্ঠ শুনতে পান তিনি। কয়েক সেকেন্ড পর ফোন কেটে যায়। এরপর আর সেই নম্বরে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি দাবি করেন, মেয়ের কথা শুনে মনে হয়েছে তাঁরা খুব আতঙ্কে রয়েছে। দুই মেয়ে হিন্দিভাষী কোনও রাজ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ঘটনার তিন মাস পর গত ১২ জুলাই বিষয়টি নিয়ে আবার পুলিশকে চিঠি লিখে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও ফল মেলেনি। তাই এবার বাধ্য হয়ে দুই তরুণীকে খুঁজে পেতে আদালতে রদ্বারস্থ হলেন তিনি। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, মেয়েদের খুঁজে বের করুক আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।