সুব্রত রায়: রবিবার কোজাগরি লক্ষী পূজার দিন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর শোনালেন রাজ্যে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান যারা পথের ধারে বসে আন্দোলন করছেন, তাদের আর বেশি দিন আন্দোলন করতে হবে না। খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার তাদের সকলের চাকরি ব্যবস্থা করবে। তাদের শিক্ষাকতায় চাকরির সুযোগ মিলবে।
লক্ষী পূজোয় অগ্নিমূল্য বাজারদর প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার উৎপাদনে(Production) কোন ঘাটতি নেই। তাই জিনিসপত্রের দাম বাড়ারও কোন কারণ নেই। উৎসবের সময় বলে রাজ্য সরকার কঠোর মনোভাব নিয়ে চলছে না। সেই জন্য হয়তো দোকানীরা যে যেরকম পারছেন দাম নিচ্ছেন। এটা কখনোই ঠিক নয়। দুর্গা পুজোর সময় থেকে এখনো পর্যন্ত বাজারদর(Market Price) যেভাবে গগনচুম্বি হয়ে উঠেছে তা সাধারণ মানুষকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে। এদিন নিজের বাড়ির কোজাগরি লক্ষ্মী পূজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ততার মধ্যে এমনটাই জানালেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীতথা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী নিজে তৃণমূল ভবনে পুরোহিত হয়ে পুজো করে থাকেন। কিন্তু নিজের বাড়ির পুজো পুরোহিত ডেকেই করা হয়।
রবিবার সকাল থেকে ব্যস্ত কৃষি মন্ত্রী(Agriculture Minister) বাড়িতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার পাশাপাশি পুজোর যোগানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পরিবারের সদস্য তথা ছেলের বউদের সঙ্গে। তিনি নিজেও হাত মেলান নানা কাজে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্যে কৃষিমন্ত্রী জানান,তিনি যে দপ্তরের মন্ত্রী, তাতে তিনি দায়িত্ব নিয়ে জানাচ্ছেন, উৎপাদনে কোনরকম ঘাটতি নেই। অথচ উৎসবের সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য এই দাম বৃদ্ধি করে দেয়। এমনকি তার বাড়ির লোকজনও লক্ষ্মী পূজার বাজার করে এসে আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে কৃষিমন্ত্রী জানান। একইসঙ্গে বর্ষীয়ান বিধায়ক এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় লক্ষ্মী পূজার (Laxmi Puja)দিন আসার বাণী শুনিয়ে বলেন, যারা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে চাকরি পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন, তাদের আর বেশি দিন পথের ধারে বসে থাকতে হবে না। রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই তাদের সকলকে চাকরি দেবে।