এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের নজরে মমতা, উদ্বেগে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন সেটা ঠিক হয়ে যেতে চলেছে আগামী ২১ জুলাই। বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের(President Election) নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ জুলাই ভোট নেওয়া হবে ও ২১ জুলাই সেই ভোট গণনা করা হবে। ওইদিনই জানা যাবে, পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কে হবেন দেশের পরবর্তী সাংবিধানিক প্রধান। একই সঙ্গে কমিশনের তরফে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলই তাঁদের সাংসদ ও বিধায়কদের নির্দিষ্ট কোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে হুইপ জারি করতে পারবে না। অর্থা‍ৎ কার্যত বিবেক ভোট দেওয়ার অধিকার পাচ্ছেন সাংসদ-বিধায়করা। আর এখানেই গোটা দেশের নজর ঘুরে গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দিকে। কেননা এক তো মমতাই এখন দেশের প্রধান বিরোধী মুখ এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। তাঁদের ভোট কোন পক্ষ পাবে সেটাই এখন ভাবাচ্ছে সবাইকে।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই কার্যত সর্বশেষ জাতীয় স্তরের নির্বাচন হতে চলেছে যেখানে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কেরা ভোট দেবেন। সেই হিসাবে এই নির্বাচনেই বিরোধীরা সুতো পাকাতে পারে মোদি(Narendra Modi) ও বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের জন্য। যদি সেই জোট গঠন সহজ হয় এবং তাঁরা যদি নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে মোদি ও বিজেপি(BJP) উভয়েই চাপে পড়ে যাবে। কার্যত ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন তখন তাঁদের কাছে একতা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু বিরোধীরা যদি সেই জোট গঠন করতে না পারে তাহলে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে থেকে ২০২৪ এর লড়াই যে শুরু করবে এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এখানেই সবাই তাকিয়ে মমতার দিকে। তিনি কী করবেন? তিনি কী কংগ্রেসের(INC) প্রার্থীকে সমর্থন করবেন নাকি অকংগ্রেসি অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেসকে বলবেন সেই প্রার্থীকে সমর্থন করতে! মমতা বা তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। তবে মমতা বা তৃণমূল যে হাত গুটিয়ে বসে আসে এমনটাও কিন্তু নয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ৪ হাজার ৮০৯ জন ভোট দেবেন। তার মধ্যে ৭৭৬ জন সাংসদ ও ৪ হাজার ৩৩ জন বিধায়ক। প্রত্যেক সাংসদের ভোট মূল্য ৭০০। মোট ভোটমূল্য ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩১। প্রত্যেক ভোটারকেই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের ভোট দিতে হবে। কোনও ভোটার প্রথম পছন্দের ভোট না দিলে তাঁর ভোট অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। বিজেপির এখন যা অবস্থা তাতে তাঁরা একক ক্ষমতায় কাউকে জিতিয়ে আনতে পারবে না। তাঁদের অন্য আঞ্চলিক দলগুলির সাহায্য নিতেই হবে। আর এখানেই চিন্তা বেড়েছে বিজেপির। কেননা এক তো, এবারে কোনও দলই হুইপ জারি করতে পারবে না, তার ওপর এনডিএ’র দলগুলিও খুব একটা বিজেপির ওপর তুষ্ট নয়। তাই এনডিএ’র সাংসদ ও বিধায়কদের তরফে যে ক্রশ ভোটিং হবে না তার কোনও গ্যারেন্টি নেই। বরঞ্চ সেই সম্ভাবনা বেশ ভাল রকম রয়েছে বলেই সকলে মনে করছেন।

জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে তৃণমূল এখন না এনডিএ শরিক না ইউপিএ শরিক। লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা এখন ২৩। অর্জুন সিংকে ধরলে তা ২৪। তবে তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী ভোট দিতে যাবেন কিনা তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। গেলেও তাঁদের ভোট যে বিজেপির দিকেই যাবে সেকথাও জোর দিয়েই বলা যায়। সেই হিসাবে তৃণমূলের তরফে তাঁদের সমর্থিত প্রার্থী ২২জন সাংসদের ভোটই পাবেন। তবে রাজ্যসভায় থাকা তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ সংখ্যা ১৩। সেই সাংসদেরা সবাই দলের সমর্থিত প্রার্থীকেই যে ভোট দেবেন সেকথা হলফ করেই বলা যায়। আবার রাজ্য বিধানসভায় এখন তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে ২১৭জন। বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ৭৫জন। কিন্তু যেহেতু কোনও দলই ক্রশ হুইপ জারি করতে পারবে না তাই বাংলার সব বিজেপি বিধায়কেরা যে বিজেপির প্রার্থীকেই ভোট দেবেন সে কথা জোর দিয়ে বলা যায় না।

কংগ্রেস কী করবে? ধরেই নেওয়া হচ্ছে তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রার্থী দেবে। মমতা অবশ্য চেষ্টা করবেন সর্বসন্মত প্রার্থী দাঁড় করাতে। মমতার সিদ্ধান্ত যে এনসিপি, সপা, টিআরএস মেনে নেবে সেটা হলফ করেই বলা যায়। তবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ডিএমকে, শিবসেনা, তেলেগু দেশম পার্টি, সংযুক্ত জনতা দল, শিরোমণি অকালি দল, আপ এরা কী করবে তা ভাবাচ্ছে সবাইকে। তবে সন্দেহ নেই মোদির বিরুদ্ধে এখন গোটা দেশে সব থেকে গ্রহণযোগ্য মুখ মমতাই। কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী সব দলেরই এখন প্রথম পছন্দই মমতা। তাই তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এটা দেখতে যে মমতা কী করেন। যদি মমতা সক্ষম হন সব বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে এবং যদি সেই প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারেন তাহলে কিন্তু ২০২৪ এর লড়াই চূড়ান্ত উত্তেজনার স্তরে চলে যেতে বাধ্য। মমতাও জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মোদিকে ধাক্কা দিতে অনেকটাই এগিয়ে থেকে লড়াই শুরু করতে পারবেন। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোট পঞ্চমীতে গড় দখলে রাখার লড়াই তৃণমূল-বিজেপির

বুধবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে, শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপ অতি শক্তিশালী হবে

রামের নামে আর চিঁড়ে ভিজছে না শিল্পাঞ্চলে, খাবি খাচ্ছে বিজেপি

ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার ওসি সহ পুরুলিয়ার এসপিকে সরাল কমিশন

বিধান ভবনে খাড়গের ছবিতে লেপে দেওয়া হল কালি, লেখা হল ‘টিএমসি দালাল’

বাংলার মুখ্যসচিবের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মোদি সরকার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর