নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি (ED) হেফাজতে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁর নিরাপত্তা করা হয়েছিল আরও জোরদার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (PARTHA CHATTERJEE) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৭৬ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বের করে নিয়ে আসা হলে হাসপাতাল চত্বরেই তাঁকে জুতো ছুঁড়ে মারেন শিপ্রা ঘড়ুই নামে আমতলার এক মহিলা। আর এখানেই রাজনৈতিক যোগ দেখছে রাজনৈতিক মহল।
বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তি বিচারাধীন বন্দি থাকাকালীন তাঁকে উদ্দেশ্য করে কেউ জুতো ছুঁড়লে বা কালি ছেটালে ওই ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়। করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তবে এক্ষেত্রে দেখা গেল অন্য ছবি। নিজের পায়ের দু’পাটি জুতো খুলে তা ছুঁড়ে মেরে বিনা বাধায় চলে গেলেন ওই মহিলা। কেন্দ্রীয় জওয়ান বা ইডি কেওই আটক করা তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদও করেনি ওই মহিলাকে। এই ‘বিপ্লবী’ তত্বের পেছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে সেই মুহূর্তে থাকা কয়েকজনের দাবি, শিপ্রা ঘড়ুই নামের ওই মহিলা আগে ছিলেন সিপিএম কর্মী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপি হয়ে যান।
আইনজীবীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে কিন্তু আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না কেও। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ওই মহিলা বিনা বাধায় চলে গেলেন? এখানেই প্রশ্ন উঠছে ‘ইডি- বিজেপি’ যোগ নিয়ে। উল্লেখ্য, ইডির দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায় তেমন কোনও উত্তর দিচ্ছেন না। অথচ আগামিকাল তাঁকে পেশ করতে হবে আদালতে। শেষ হচ্ছে ইডি হেফাজতের মেয়াদ। এতেই ‘বিরক্ত’ ইডি আধিকারিকরা। আইনজীবীদের বক্তব্য, অভিযুক্তের সুরক্ষার দায়িত্ব যাঁদের হেফাজতে অভিযুক্ত থাকেন তাঁদের। তদন্তের স্বার্থে সুরক্ষা প্রয়োজন বলেই মত আইনজীবীদের। আর এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর গুঞ্জন শুরু হতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ইডিকে।