নিজস্ব প্রতিনিধি : ভাবছেন ঘুরতে যাবেন ?কিন্তু সময় পাচ্ছেন না। হাতে অল্প সময় থাকলেও চিন্তা নেই। অফিসের একদিন ছুটির ফাঁকে ঘুরে আসুন অসাধারণ এই জায়গাটি। মন হবে ফুরফুরে। শান্ত মেজাজে থাকবেন। কাজের প্রেসার ভুলে থাকবেন। দেখে নিন কোথায় সেই মনোরম জায়গা।পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান ট্যুর ডেস্টিনেশন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঝাড়গ্রাম। জানেন কি আছে এখানে-এই জঙ্গলমহলের কোথাও নদী, কোথাও ছোট ছোট টিলা, কোথাও আবার পাহাড়। কোথাও লেক কোথাও আবার পাখিরালয়। মন ভরে যাওয়া প্রাকৃতিক দৃশ্য যাকে বলে।
পাশেই রয়েছে আদিবাসী সংস্কৃতির মেলবন্ধন। এখানে রয়েছে আদিবাসী মানুষজনের তৈরি নানা খাবার। জঙ্গলমহলের গ্রাম ঢাঙ্গিকুসুম। এই গ্রাম বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। এখানে এলেই পাথরের গা বেয়ে যেতে হবে আপনাকে ঝর্ণার কাছে। পাহাড়ের কোলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে রয়েছে ঢাঙিকুসুম। কল্পনা নয় সত্যি ! দু’পাশে ঘন সবুজ জঙ্গল। এর মাঝে উঁচু-নিচু পথ। টিলার উঁচু-নীচু ঢেউখেলানো পথ রয়েছে। তবে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে আপনার বেশ ভাল লাগবে।
এছাড়াও চারিদিকে ছোট বড় পাহাড়ে ঘেরা বেলপাহাড়ির এই জায়গা। মাঝে ছোট্ট শান্ত জলপ্রপাত। চোখ বন্ধ করে নি:শ্বাস নেওয়া যায় এখানে। সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এখানে। কালো পাথরের গা বেয়ে ঝরে পড়ছে ঝরনার জল, যা ভুলিয়ে দেবে আপনার সারাদিনের ক্লান্তিকে।সবুজে চোখ মিলিয়ে দেখুন একবার জীবনের মূল্যবান মূহুর্ত উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার অধিবাসীদের তৈরি পাথরের নানান জিনিসপত্র মন ভরবে আপনার।
কিভাবে যাবেন : রেলপথে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৫৪ কিলোমিটার, সময় লাগে দুই থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা। হাওড়া থেকে ছাড়ে এই ট্রেন। সবথেকে সুবিধাজনক হল সকালের ট্রেনে আসা, ইস্পাত এক্সপ্রেসে ধরতে পারেন সকাল সকাল, এছাড়াও রয়েছে লালমাটি এক্সপ্রেসে চড়ে বসলেই সোজা ঝাড়গ্রাম।