নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৫ শে বৈশাখের আজকের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন।সমগ্র বিশ্বের বুকে আজও জীবিত তিনি। কবির হৃদয় গলানো এক একটা শব্দ আজও আকাশে বাতাসে ঘোরে ফিরে। প্রিয় কবির নাম বললেই উঠে আসে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। আপনি কী জানেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ভোজন রসিক মানুষ ? নানা রকমের নানা ধরণের খাবার খেতে ও এক্সপেরিমেন্ট করতে তিনি বরাবর পছন্দ করতেন। আজ কবি গুরুর জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর প্রিয় খাবার কি কি ছিল।
ঠাকুরবাড়ির হেঁশেল কথা : আপনি কী জানেন ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে কি কি রান্না হত ? বড্ড ভোজনরসিক ছিলেন কবিগুরু। জীবনে বাছবিচার খুব কমই করতেন। সেই জন্যই বোধহয় তিনি অনবদ্য অনন্য। ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে নাকি রান্না হত চিঁড়ের খিচুড়ি।এর স্বাদ ছিল একেবারে অমৃত। আসলে প্রয়োজনে হোক বা অপ্রয়োজনে, রান্নায় নতুন নতুন পদের উদ্ভাবন করা ছিল ঠাকুরবাড়ির একটা অভ্যাস। সেকালে শুধু ধনী বলে নয়, সংস্কৃতিমনস্ক বলেও বিখ্যাত ছিল ঠাকুরবাড়ি। আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির মতো ‘রাঁধার পরে খাওয়া, আর খাওয়ার পরে রাঁধা’-র সাবেকি চাল পাল্টায়নি সেখানে।
পেঁয়াজের পরমান্ন, খেজুরের পোলাও, রামমোহন দোলমা পোলাও, দ্বারকানাথ ফিরনিপোলাও, হেমকণা পায়েস, লঙ্কা পাতার চড়চড়ি, বিটের হিঙ্গি, কাঁচা তেঁতুলের সরস্বতী অম্বলের মতো অভিনব সব পদ আবিষ্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথের মেয়ে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। ১৯১১ সালের ৭ মে, রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বছরের জন্মদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল তাঁর তৈরি ‘কবিসংবর্ধনা বরফি’। সেই বরফি রান্না হয়েছিল মূলত ফুলকপি দিয়ে।
কবিগুরুর পছন্দের খাবার : ঠাকুর বাড়ির আদরের রবি ছোটবেলা থেকে আমিষ, নিরামিষ দুই ধরণের খাবার খেতেই পছন্দ করতেন। তবে নিরামিষের দিকে টান ছোটবেলায় বেশি ছিল। সোনা মুগের ডাল ছিল তাঁর অন্যতম পছন্দের খাবার তবে তাতে সজনে ডাটা হলে বেশ জমতো। এছাড়া ফুলকপি দিয়ে তৈরী নানান পদ, নারকেল বাটা দিয়ে ইঁচড়, পাঁচ ফোঁড়ন সহযোগে নিরামিষ তরকারি, লুচি সাদা আলু দিয়ে, দুধ শুক্তো, ঝিঙে পোস্ত, কলার মোচার কোপ্তা,
কখনো কখনো সন্দেস, কলা, দুধে মেখে চটকে খেতেন। এছাড়াও আমিষ প্রিয় ছিলেন তিনি।চিকেন কাবাব নোসি, সুরতি মিঠা কাবাব। মাছের পদের মধ্যে কাঁচা ইলিশের ঝোল, চিতল মাছের মুঠে, নারিকেল চিংড়ি, আদা দিয়ে মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া খেতেও ভালবাসতেন তিনি।