নিজস্ব প্রতিনিধি : আপনি কী জানেন বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে কেন আখ্যা দেওয়া হয় এই অক্ষয় তৃতীয়া’কে ? এই দিনে একটার পর একটা ইতিহাস রয়েছে। যার কারণে এই দিনের মাহাত্ম্য আরও হাজার গুন বেড়ে গেছে। জেনে নিন কি কি ঘটেছিল এই দিনে।
পরশুরাম আবির্ভাব : অক্ষয় তৃতীয়ায় বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম এই দিন আবির্ভাব ঘটেছিল। জৈন সম্প্রদায়ের কাছে এই দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন পরশুরাম শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল কুঠার হস্তে রাম। এই দিন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এই দিনটি তাই পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়।
গঙ্গা অবতরণ : এই দিন ভগীরথের হাত ধরে গঙ্গা পৃথিবীতে এসেছিল। তাই এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সত্য যুগের সূচনা : এদিনই সত্য যুগের সূচনা হয়। তাই এই দিনটির আলাদা এক তাৎপর্য রয়েছে।
পুরীতে জগন্নাথ মহাপ্রভুর চন্দন যাত্রার সূচনা : প্রতি বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে।
মহাপ্রভুর রথ নির্মান চালু : এই তিথিতে পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয়েছিল।
বেদব্যাসের মহাভারত রচনা : বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা আরম্ভ করেন।
মা লক্ষ্মীর কৃপা : এই দিন লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে, এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। ধনের দেবতা কুবের একবার বর চেয়েছিলেন মা লক্ষ্মীর কাছে। লক্ষ্মী ঠাকুর সন্তুষ্ট হয়ে আজকের দিনেই কুবেরকে অনেক ধনরত্ন উপহার দিয়েছিলেন।
দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব : এই দিনেই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব হয়েছিল। তাই এই দিনের আাদা মাহাত্ম্য আছে।
শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ বাল্যসখা সুদামা : অক্ষয় তৃতীয়াতেই শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হয় বাল্যসখা সুদামার। এক মুঠো চালের বিনিময়ে সুদামার সব দুঃখ-কষ্ট মোচন করেন শ্রীকৃষ্ণ।
দ্রোপদি কে কাপড় দান শ্রীকৃষ্ণের : এই বিশেষ দিনে দ্রোপদির সম্মান রক্ষার্থে কাপড় দান করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
চার ধাম : এই বিশেষ দিনে খুলে দেওয়া হয় চার ধাম।কেদারনাথ, বদরিনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনাত্রী। ৬ মাস বন্ধ থাকার পর এইদিন খুলে দেওয়া হয় চার ধাম।