নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কথায় আছে জীবন যত সুখের হবে, যত আনন্দময় হবে ততই আমাদের শরীর থাকবে সুস্থ এবং প্রাণোচ্ছল। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের মন সুস্থ থাকা খুব দরকার। মন ভালো না থাকলে কোনও কিছুই ভালো থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু এইসব তথ্য এখন পুরনো। কারণ সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপনি যত বেশী কাঁদবেন, আপনার যত বেশী চোখের জল পড়বে আপনার শরীর তত ভালো থাকবে। একদিকে কাঁদলে যেমন মনের চাপ কমে যায়, তেমনই আমাদের চোখের জলের অনেক গুনাগুণ রয়েছে। যে কারণে কাঁদলে আমাদের শরীর, মন দুইই ভালো থাকে। তাহলে আসুন জেনে নিই চোখের জলের গুনাগুণ।
১) শরীর পরিশোধিত করে
কাঁদলে শরীর থেকে চোখের জলের সাথে সাথে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। দূষণের ফলে চোখে যেসব ধোঁয়া, ধুলাবালি জমে সেসব চোখের জলের সাথে বেরিয়ে যায়। সেই সাথে শরীরের টক্সিনও নির্গত হয়ে যায়। এর ফলে শরীর পরিশোধিত হয়।
২) কাঁদলে মনের চাপ কমে
কাঁদলে মন হালকা হয়। তাই কাঁদার পরে সাধারণত আমাদের মেজাজ ভালো হয়। কান্নার পর মানুষ নতুন করে কাজ করার উদ্যম খুঁজে পান। তাই কান্না শরীর ও মন উভয়ের জন্যেই ভীষণ উপকারী।
৩) চোখ আদ্র থাকে
কাঁদলে চোখের শুষ্কতা কমে যায়। চোখ আদ্র এবং সুস্থ থাকে। ফলে যারা ড্রাই আইয়ের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কান্না ভীষণ উপকারী। চোখের জল চোখের মিউকাস মেমব্রেন শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে। ফলে নিয়ম করে কাঁদলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
৪) ওজন কমাতে সাহায্য করে
কাঁদলে ওজনও কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কান্নার সময় শরীর থেকে যে ক্যালোরি নির্গত হয় সেটি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁদলে শরীর থেকে কর্টিসোল নামের এক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে দ্রুত মেদ বৃদ্ধি পায়। তাই এই হরমোন যত আমাদের শরীর থেকে কমে ততই আমাদের ওজনও কমে।
৫) মানসিক অবসাদ দূর করে
মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে কান্না। কাঁদার সময় মস্তিষ্কে এনডরফিন নামের একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে।