নিজস্ব প্রতিনিধি : শুনতে অবাক লাগছে তাই তো ? ও পৃথিবীর ও জন্মদিন হয় নাকি! কিন্তু আপনি কি জানেন প্রতি বছর ২২’শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব পৃথিবী দিবস। এই বিপুল জনবহুল বিশ্বে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব না জানলে ধ্বংস নিশ্চিত। বর্তমানে গাছপালার সংখ্যা যে হারে কমেছে অন্যদিকে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে তাতে পৃথিবীর অবস্থা বিপন্ন বলা চলে। তাই পৃথিবী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে জেনে নিন সবুজের ভূমিকা।
১৯৭০ সালে প্রথমবার ধরিত্রী দিবস পালন করা হয় এবং সেনেটর গেয়লর্ড নেলসন ক্রমশ দূষিত হতে থাকা পরিবেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এই নিয়ে বিভিন্ন দেশ এবং সরকার দূষণ কমানো এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সচেতন। তবে তা হলে কি হবে আমরা নিজেরাই যদি সচেতন না হই তা হলে পৃথিবী ধ্বংস তো হবেই।
সবুজ’ই জীবন : বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বাঁচি। নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড নামে বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে ছাড়ি। অন্যদিকে, গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে ও বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। গাছপালা না থাকলে একসময় বাতাসের অক্সিজেন একেবারে শেষ হয়ে যেত। আর আমরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তাম।
ওষুধ তৈরিতে গাছপালা: আমাদের পরিবেশে কিছু গাছপালা আছে সেগুলোকে আমরা ভেষজ উদ্ভিদ বলে থাকি। সেগুলোর লতাপাতা, ছাল, কিংবা শিকড় ওষুধ তৈরিতে ব্যবহূত হয়। সিনকোনাগাছ ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুনাইন তৈরিতে কাজে লাগে। কালোমেঘ, নয়নতারা, আসামলতা, শ্বেতচন্দন ইত্যাদি উদ্ভিদ ভেষজ গুণসম্পন্ন।
সৌন্দর্য বাড়াতে : বাড়ির শোভা বা সৌন্দর্য বাড়াতে ও উদ্যান বা বাগানে গাছের জুড়ি মেলা ভার।ফল গাছ থেকে শুরু করে ফুল গাছের গুরুত্ব অপরিসীম।
খাবার : গাছ আমাদের খাবারের জোগান দেয়।ফল থেকে শুরু করে শাকসবজি পুরোটাই সবুজের ওপর নির্ভরশীল আমরা।
মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা : গাছপালা না থাকলে পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ।পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। তাই ইচ্ছামতো গাছ কাটা ও বন উজাড় করা ঠিক নয়। সর্বত্র গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।