নিজস্ব প্রতিনিধি : ট্রেনে ওঠার কথা ভাবলেই আমরা আগে দেখি টিকিট আছে কিনা। কেননা টিটি ধরলে আর রক্ষা নেই! একবার জরিমানা করলে হয়ে গেল! তবে দেশের এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চড়া যায়। একবার দুবার নয়, যত ইচ্ছে ততবার। ভাকরা এবং নাঙ্গালের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে এই ট্রেন। আপনি কি জানেন এটা কোথায়! ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধটি হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাব রাজ্যে অবস্থিত।
ভাকরা রেলওয়েতে একটি ট্রেন দিনে দু’বার যাতায়াত করে, ট্রেনে যাতায়াত করেন দিনে ১০০ -র উপর যাত্রী। যাত্রাপথে পড়ে মোট ৫টি স্টেশন। নাঙ্গাল থেকে এক বার সকালে ৭টা বেজে ৫ মিনিটে এবং বিকেল ৩টে বেজে ৫ মিনিটে ছাড়ে ট্রেনটি। যাতায়াত করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা এবং স্কুল পড়ুয়ারা। ৭৬ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে এই ট্রেন। এর জন্য টিকিট কাটতে হয় না যাত্রীদের।সকলের জন্য বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে দেয় এই ট্রেনটি।
এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা প্রয়োজন, সালটা তখন ১৯৪৮। স্টিম ইঞ্জিন নিয়ে যাতায়াত করা শুরু করেছিল এই ট্রেন। পরে ১৯৫৩ সালে স্টিম ইঞ্জিনের বদলে ডিজেল ইঞ্জিন নিয়ে যাতায়াত শুরু হয়।৫টি স্টেশনের যাত্রাপথ মোট ১৩ কিলোমিটারের।
যাত্রীরা শিবালিক পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে যাতায়াত করেন। গত বছরেই ৭৫ বছর পেরিয়েছে এই ভাকরা রেলওয়ে। এই বাঁধ এলাকার উপর দিয়ে চলাচল করে এই ট্রেন। ২৫টি গ্রামের মানুষের কাছে দৈনন্দিন যাতায়াতের মাধ্যমে এই ট্রেন। স্থানীয় মানুষদের কাছে বিনাখরচের এই ট্রেনই ভরসা। মূলত স্কুলের ছাত্রছাত্রী, কলেজ পড়ুয়া এবং শ্রমিকেরাই বেশি যাতায়াত করেন এই রুটে। তাঁদের ৭৬ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে এই ট্রেন। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হলেও, ট্রেন ও রুটের ঐতিহ্য বজায় রাখার চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে। কখনো পাঞ্জাব গেলে এই ট্রেনে চড়তে ভুলবেন না যেন। পর্যটক হিসেবে আপনিও এর স্বাদ নিতে পারেন।