নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চলতি বছরের শুরুর থেকেই আবারও বড় হয়েছে করোনার থাবা। এই দুই করে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের পৌঁছেছে লাখের ঘরে। তবে স্বস্তির বিষয় একটাই করোনা আক্রান্ত হলেও এই মুহূর্তে অধিকাংশ করোনা রোগীই হয় উপসর্গহীন, নয়তো বা তাঁদের মধ্যে রয়েছে হালকা কিছু উপসর্গ। কিন্তু যে উপসর্গটি কমে বেশী প্রায় সব রোগীর ক্ষেত্রেইএই দেখা যাচ্ছে সেটা হল কাশি। খুস্খুসে কাশি থেকে অতিমাত্রায় কাশি বর্তমানে করনা রোগীদের এটাই প্রধান উপসর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার করোনামুক্ত অনেকেই জানাচ্ছেন, সব সেরে গেলেও কিছুতেই যাচ্ছে না গলা ব্যাথা ও কাশি। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও হচ্ছে না কোনও লাভ। আর তাই আজ আপনাদের জন্য রইল কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া কিছু উপায়।
খালি পেতে মধু খান
শুকনো কফ এবং খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন দু থেকে তিনবার এক টেবিল চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে খালি পেটে মধু খেলে কাশীর হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে। এছাড়া গরম জল কিংবা গ্রিন টিয়ের সাথেও মধু মিসিয়ে খেতে পারেন।
আদা খান
কাঁচা আদাকে বলা হয় কাশির মহৌষধ। গলা খুসখুস করলে আদা থেঁতো করে হাফ কাপ গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত আরাম পয়া যায়। এছাড়া আদা রস করে সাথে মধু মিশিয়ে খেলে বা চায়ের সাথে আদা দিয়ে খেলেও কাশি কমে। তগে দেখবেন আদার পরিমাণ যেন খুব বেশী না হয়। কারণ খুব বেশী আদা খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।
গরম জলের ভাপ নেওয়া
খুসখুসে কাশি থেকে সর্দি বসে যাওয়া, এই সমস্ত রোগের অন্যতম চিকিৎসা হল গরম জলের ভাপ নেওয়া। গরম জলের সঙ্গে আপনি প্রয়োজনে এসেনসিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। গরম জলের ভাপ নাক পরিষ্কার রাখে, গলা ব্যথা কমায় এবং কফের পরিমাণও অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে।
গরম জল দিয়ে গার্গল
কাশির সমস্যার প্রধান চিকিৎসাই হল গরম জলে গার্গল করা। কাশির চিকিৎসায় চিকিৎসকরাও সব সময় গরম জল দিয়ে গার্গল করার কথা বলেন। এটি শ্লেষ্মা বা কফ বের করে দিতে সাহায্য করে। আর তাতে কাশির হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।