নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পৌষ শেষে আবার শুরু হয়েছে বিয়ের মরশুম। শুরু হয়েছে মাঘের যাত্রা। আর পৌষ মাস শেষ হওয়া মানেই সামনে লম্বা বিয়ের মরশুম। আমাদের দেশের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মাঘ, ফাল্গুনের মতো উপযুক্ত বিয়ের সময় আর একটাও হয় না। আর তাই মৃদু মন্দ এই ঠাণ্ডাকে সাক্ষী করেই চারহাত এক করছেন অনেকেই। কেউ লাভ ম্যারেজ করছেন তো কেউ বা আবার অ্যারেঞ্জ তবে লাভ হোক বা অ্যারেঞ্জ বিয়ের পরে নতুন বউয়ের মন জিততে কিন্তু ফেল করেন বাঘা বাঘা প্রেমিক। একে নতুন জীবনের শুরু, তাঁর মধ্যে আবার প্রিয়জনদের পিছনে ফেলে এসে প্রায় অচেনা এক পরিবারকে আপ নেওয়া সব মিলিয়ে এই সময়ে মেয়েরা একটু ঘেঁটেই থাকে। আর তাই এই সময়ে যদি বররা তাঁদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে তাঁরা আরও বেশী অসহায় বোধ করেন।
কিন্তু জানেন কি এই সময়ে সামান্য কিছু জিনিস্মেনেন চললেই ভালো থাকবে আপনার এই নতুন জীবনসঙ্গিনীর মন। এই সময়টা তাঁদের জন্য বেশ কঠিন একটা সময়। আর তাই এই সময়ে আপনাকেই রাখতে হবে আপনার এই নতুন পথ চলার সাথীর খেয়াল রাখার। আসুন জেনে নিই ঠিক কি উপায়ে এই সময়ে ভালো রাখবেন আপনার অর্ধাঙ্গিনীর মন।
সময় দিন
এই সময় যতটা পারেন সময় দিন আপনার জীবন সঙ্গিনীকে। কারণ এই সময়েই আপনাদের একে অপরকে চিনতে হবে। আর আপনি যত সময় দেবেন আপনার সঙ্গিনীকে ততই দেখবেন তাঁর মনও ভালো থাকছে।
পরিবারের অভাববোধ হতে দেবেন না
লাভ হোক কিংবা আরেঞ্জ মনে রাখবেন আপনার সঙ্গিনী কিন্তু সদ্যই আপনার হাত ধরে তাঁর পরিবার পরিজন, তাঁর পুরনো জীবন সবকিছু ছেড়ে আপনার সঙ্গে শুরু করেছে নতুন পথ চলা। তাই মুখে বলুক আর নাই বলুক এই সময় প্রতিটা মেয়েই তাঁর বাবা-মা, পরিবার পরিজনকে মিস করে। আর তাই তখন আপনার এবং আপনার পরিবারের দায়িত্ব যাতে তিনি খুব বেশী তাঁর বাড়ির লোককে মিস না করেন।
জোরাজুরি একেবারেই নয়
এই সময়ে কোনওভাবেই কোনও কিছু নিয়ে জোরাজুরি করবেন না। এক্ষেত্রে যদি আপনার সঙ্গিনী কাছে আসতে না চায় তাহলে তাঁকে একটু সময় দিন। এতে যেমন একদিকে তাঁর মনের ওপর কোনও চাপ পড়বে না, তেমনই আপনার সম্মানটা তার কাছে অনেকগুন বেড়ে যাবে।
সিনেমা দেখুন, ঘুরে বেড়ান
বিয়ের পরে এই সময়টাই হল কাছাকাছি আসার সময়। আর তাই এই সময়টাকে কখনই বৃথা যেতে দেবেন না। যতটা পারেন একা ওপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটান। জানা চেষ্টা ক্রন আপনাদের একে ওপরের কি কি পছন্দ। একসঙ্গে সিনেমা দেখুন, ঘুরে বেড়ান। দেখবেন আলাদা করে আয্র কিছু করতে হচ্ছে না এমনই আপনাদের দুজনেরই মন ভালো থাকছে।
নিজের পরিবারকেও অ্যাডজাস্ট করতে শেখান
একটা মেয়ে যখন বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে আসে তখন সকলে তাঁকেই সর্বদা অ্যাডজাস্ট করতে শেখায়। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। এখন আমাদের অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করে যে অ্যাডজাস্টমেন্ট দুপক্ষকেই করতে হয়। তাই আপনার পরিবারের লোককেও সেকথা বোঝান। আপনার পরিবারের কারণে আপনার সঙ্গিনীর মনে যাতে বাড়তি চাপ না পড়ে সেটা খেয়াল রাখুন।
