নিজস্ব প্রতিনিধি : কোন ব্যক্তির কোষ্ঠীতে কালসর্প দোষ থাকলে জীবনে উন্নতি করতে পারে না সেই ব্যক্তি। সমস্যা পিছুটান ছাড়ে না। জীবনে একটার পর একটা বাধা আসতেই থাকে। ধার দেনা থেকে শুরু করে কেরিয়ারে পিছিয়ে পড়ে সেই ব্যক্তি। সমাজে বদনাম বাড়ে। লেখাপড়ায় ও বিশেষ উন্নতি হয় না। জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন যে কোষ্ঠীতে নানা কারণে কালসর্প দোষ তৈরি হতে পারে। কালসর্প দোষের প্রভাব অনেক সময় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। তাই বিশেষ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

কালসর্প দোষের লক্ষণ :

বারবার স্বপ্নে সাপ দেখা :  জ্যোতিষশাস্ত্র মতে,কোষ্ঠীতে কালসর্প দোষ থাকলে ঘুমের মধ্যে বারবার সাপের স্বপ্ন দেখতে পায় সেই ব্যক্তি।

ঠকে যাওয়া : কালসর্প দোষের প্রভাবে ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হতে থাকেন।

কুসঙ্গ : ব্যক্তি খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারেন এবং নিজেই নিজের ক্ষতি করতে পারেন। নিজের প্রতি রাগ জন্মাতে পারে।

বদনাম : কোষ্ঠীতে কালসর্প দোষ থাকলে কারণ ছাড়াই সমাজে বদনাম হন ওই ব্যক্তি।

এছাড়াও জোত্যিষমতে, কোষ্ঠীতে কালসর্প দোষ থাকলে ব্যক্তি বারবার আঘাত পান, দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এছাড়াও নানা অসুখ বিসুখে ভুগতে হয়। বিশেষ করে ত্বকের সমস্যায়।

মুক্তির উপায় :  ১) কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে নাগপঞ্চমীতে রুপো দিয়ে তৈরি একজোড়া সাপের পুজো করুন। পুজো হয়ে গেলে এই জোড়া সাপ নদীর জলে ভাসিয়ে দিন। ২) নাগপঞ্চমী তিথিতে সব বিধি মেনে মহাদেবের আরাধনা করুন।একজোড়া রুপো বা তামার তৈরি সাপ শিবলিঙ্গে নিবেদন করুন। ৩) এছাড়াও শিব মন্দির সাফ রাখলে এবং তার মেরামতি করলে আপনি কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাবেন।