নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মঙ্গল ও বুধবার পড়েছে এবছরের লক্ষ্মীপুজো। নিয়ম ও রীতি অনুযায়ী এক একজন বেছে নিয়েছেন একটি দিন। তবে লক্ষ্মীপুজোর বাজারে এবছর চলছে মন্দা। একে করোনা তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। যার ফলে একেবারে শুনশান বাজারহাট। প্রতিমা বিক্রি থেকে ফল, সব্জির দোকানদার সবারই মাথায় হাত। আবহাওয়া ঠিক না হলে কি করে কাটবে এই দুর্যোগ? প্রশ্ন জাগছে সবার মনে। আগের বারের তুলনায় আরও কম ঠাকুর তুলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু সেই ঠাকুরও বিক্রি করা দায়। জনশুন্য ফল ও আনাজের দোকান।
বচ্ছরকার এই লক্ষীপুজোয় সকল বাঙালি গৃহস্থই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রতী হন আর বিশেষ ভোগ ও মিষ্টান্নে সাজে এদিন ধন সম্পদের দেবীর ভোগের থালা। তবে ফলের দোকানের মালিকের কথা অনুযায়ী এবছর ফলের দাম একেবারেই বাড়েনি। আর তা নাকি বাড়বেও না। পুজো পার্বণের দিনে বাজারগুলিতে আগুন দাম দেখলেই পকেটে টান পরে বাঙালির। তবে কি এবছর তা হচ্ছে না? বাজারে থরে থরে সাজানো নানাপ্রকারের নাড়ু, ধানের শীষ, ডাব, তালের শাঁস। কিন্তু দেখা মিলছে না ক্রেতার। আসুন একনজরে দেখে নিই কিরকম যাচ্ছে এবছরের লক্ষ্মীপুজোর বাজার-
ফল ও শুকনো মিষ্টি
তিল ও নারকেল নাড়ু ২০ টাকা প্রতি প্যাকেট, শশা ৫০ টাকা, পেয়ারা ১০০ টাকা, বেদানা ১০০ টাকা, নারকেল-৪০-৫০ টাকা, পানিফল-৫০ টাকা, আপেল-১৫০ টাকা।
সব্জির দাম-
জ্যোতি আলু- ১২-১৫ টাকা প্রতি কেজি, চন্দ্রমুখি আলু ১৮-২০ টাকা প্রতি কেজি, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা ( বড়) ২৫-৩০ টাকা (ছোট), বেগুন ৬০/৭০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি- ৪০-৫০ টাকা, টোম্যাট,৮০-১০০ টাকা প্রতি কেজি, কুমড়ো ৩০/৪০ টাকা প্রতি কেজি, উচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি, গাজর ৩০ টাকা প্রতি কেজি, বরবটি ৮০ টাকা কেজি।
মাছের বাজার-
লক্ষ্মী পুজো পূর্ববঙ্গীয়দের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পুজো। শুধু তাই নয় স্থান বা প্রদেশ ভেদে রয়েছে তাদের মধ্যে মাছ বা আমিষ ভোগ দেওয়ার নিয়মও। আসুন এক নজরে দেখে নিই কেমন যাচ্ছে এদিন মাছের দাম
ইলিশ দাম ঘোরাফেরা করছে ৮০০-১৬০০-র মধ্যে, রুই- ২০০-২৫০ টাকা প্রতি কেজি, পাবদা-৩০০-৪০০ প্রতি কেজি, ভেটকি ৪৫০-৫০০ টাকা প্রতি কেজি, ট্যাংরা মাছ- ১২০-১৮০ টাকা প্রতি কেজি।