বর্তমানে ননস্টিক পাত্রের ব্যবহারই বেশি। এর কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন, এতে রান্না করার সময় বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাত্র পুড়ে যাবার ভয় থাকে না।অল্প তেলেই রান্না করা যায়। এবং বাসন মাজার সময় খুব সহজেই মাজা যায়। তবে আপনি কি জানেন এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি নেই ? এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তাই কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয় এবং অনেক যত্ন নিয়ে ব্যবহার করতে হয় এই পাত্র। জেনে নিন কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
তাপের পরিমাণ : ননস্টিক পাত্রে বেশি তাপে রান্না করলে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই চেষ্টা করবেন কম তাপে হালকা খাবার রান্না করার। দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়।
টেফলন আবরণ : স্বাভাবিকভাবে টেফলন আবরণ নিরাপদ ও স্থায়ী। কিন্তু বেশি হিট হয়ে গেলে বা বেশি তাপে রান্না করলে টেফলন আবরণ ভেঙে যেতে শুরু করে। ফলে এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়ে বাতাসে মিশতে থাকে। সৌদি আরবের ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেলস’ এক গবেষণায় বলছে, ২৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের (৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রায় ননস্টিক পাত্রের টেফলন আবরণ ভেঙে যেতে শুরু করে।
খালি পাত্র আগে গরম না করা : খালি পাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বেশি গরম হয়ে যায়। ফলে পলিমার ধোয়া নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আগুনে বসানোর আগে অবশ্যই জল বা খাবার পাত্রে রাখতে হবে।
পরিবর্তন করা: টেফলন আবরণ দেওয়া ননস্টিক পাত্রে কোনো দাগ দেখা দিলে, আবরণ ওঠা বা হালকা হয়ে গেলে বুঝতে হবে পরিবর্তন করার সময় হয়ে গেছে।পাত্র থেকে কালো রঙের মিশ্রণ উঠতে দেখা গেলে, পাত্রটি তখন আর ব্যবহার না করাই ভালো। না হলে খুব বড় রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লোহার চামচ খুন্তি ব্যবহার না করা : রান্নায় নাড়াচাড়া করতে কাঠ, সিলিকন বা প্লাস্টিকের চামচ বা খুন্তি ব্যবহার করতে হবে। কারণ শক্ত বা লোহার তৈরি খুন্তির আঘাতে ননস্টিক আবরণ নষ্ট হয়ে পাত্রের স্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।
জালি দিয়ে জোরে জোরে না ঘষা : ননস্টিক পাত্র কখনও ছোবড়া অথবা জালি দিয়ে জোরে জোরে ঘষা উচিত নয়। নরম কিছু দিয়ে যত্ন সহকারে মাজা উচিত।