নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষের হাতে তৈরি করা বহু ঐতিহ্যের টানে একবার চাক্ষুষ দর্শন করার জন্য মন টানে। যেমন তাজমহল থেকে শুরু করে বহু ঐতিহ্যবাহী স্থান। কিন্তু আপনি যদি শোনেন মানুষ নয়! বরং ভূতের দল মিলে বানিয়েছিল মন্দির। তা হলে আপনার মন নিশ্চয় দেখার জন্য ছটফট করবে। অনেকে ভাবেন এটাও কি সম্ভব নাকি! এক রাতের মধ্যে কীভাবে তৈরি হতে পারে বিশাল মন্দির! আবার অনেকে ভাবেন দেবতার কৃপা। এই রহস্য জানতে হলে একবার স্বচক্ষে দেখে আসতে হবে এই মন্দির। জেনে নিন কোথায় আছে এই মন্দির।
এই মন্দিরটি আজও মধ্যপ্রদেশের এক বিস্ময়কর ঘটনা। মধ্যপ্রদেশের এই অদ্ভুত মন্দিরের আকর্ষণ কোনও অংশে কম নয়। কাকনমঠ নামে পরিচিত এই মন্দিরের আরেক নাম ‘ভূতের মন্দির’। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার সিহোনিয়া শহরে অবস্থিত। এই শহর থেকে মন্দিরটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকেই দেখতে পাওয়া যায়।
বর্তমানে এই মন্দিরটি কিছুটা ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে।এই মন্দিরের অনেক মূর্তিই ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই জরাজীর্ণ মূর্তির ধ্বংসাবশেষ গোয়ালিয়রের একটি জাদুঘরে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাচীন এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা দেবাদিদেব মহাদেব। এই মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে কয়েক ধাপ উপরে উঠতে হবে। তবেই দেখা মিলবে শিবলিঙ্গের। লৌকিক বিশ্বাস আছে যে, এই মন্দিরটি এক রাতের মধ্যেই একদল ভূত নাকি তৈরি করেছিল। তখন থেকেই ভূতের মন্দির নামে পরিচিত। অনেকে ভয় করে আবার অনেকে ভক্তি করে। তবে এই মন্দিরটি পর্যটকেদের কাছে আজও আকর্ষণীয়।