নিজস্ব প্রতিনিধি: দীপাবলির একদিন পরেই উদযাপিত হয় ভাইফোঁটা। শুধু বাঙালিদের নয়, সারা দেশের বহু রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালিত হয়। দেশের কোটি কোটি ভাইবোনেরা একে অপরের সুখ-শান্তি এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করেন। হিন্দিভাষীদের কাছে ‘ভাইদুজ’, বাঙালিদের ‘ভাইফোঁটা’, মহারাষ্ট্রে ‘ভৌ বিজ’, দক্ষিণ ভারতে ‘যমদ্বিতীয়া’ এবং নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব ‘ভাইটিকা’ নামে পরিচিত।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটার উৎসব। কালীপুজোর একদিন পর এই উৎসব হয়। সেই মতে, এবছর শনিবার মানে ৬ নভেম্বর ভাইফোঁটার উৎসব। এদিন দ্বিতীয়া শুরু হচ্ছে ৫ নভেম্বর রাত ১১টা ১৪ মিনিটে। আর দ্বিতীয়া শেষ হচ্ছে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে। পঞ্জিকা মতে, ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময় হল দুপুর ১টা ১০ মিনিট থেকে ৩টে ২১ মিনিট। তবে কেন পালন করা হয় এই ভাইফোঁটা জেনে নিন-
হিন্দু পুরাণে একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, নরকাসুর নামে এক দানবকে বধ করার পর দ্বারকায় ফেরেন কৃষ্ণ। দাদার আগমনে সুভদ্রা বিশেষ পূজা করেছিলেন। কৃষ্ণর কপালে পুজোর তিলক কেটে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই থেকে এই ভাইফোঁটা চালু হয়েছে। এদিন ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য বোনেরা তার কপালে তিলক কেটে এই উৎসব পালন করেন।
তবে পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার বাড়িতে এই দিনে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে গিয়েছিলেন। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় তিথিতে শুভ ক্ষণে দাদার কপালে তিলক কেটে তাঁকে আরতি করে ঘরে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হয়েছে ভাইফোঁটা।