- শিবে, দর্গারে লইয়া যাবে
কৈলাসে ভূবন
বিসর্জনের বাজনা বাজে
বিজয়া গমন।নিজস্ব প্রতিনিধি: আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে দেবী দুর্গা কৈলাস পাড়ি দেন। সেই কারণেই একে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। পুরাণ মতে, এই দিনেই পিতৃ-আবাস ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। যদিও ভারত ও নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দিনটি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। তবে এই দশমী তিথিকে কেন বিজয়া বলে সেটা জানতে হলে খুঁজতে হবে পৌরাণিক ইতিহাস। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে উল্লেখ আছে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আবির্ভূতা হন, এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর-বধ করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত করে। অর্থাৎ যেকোনও অশুভের উপর শুভর বিজয়। এই বিজয়া দশমী তিথিতে কয়েকটি কাজ করলে সারা বছর সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন। অর্থভাগ্যও ভালো হবে। আসুন জেনে নিন কী কী করতে হবে।
- দশমী পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় সাদা বা নীল অপরাজিতা ফুল মা-কে অর্পণ করুন।
- দশমীর সকালে এক কৌট সিঁদুর নিয়ে মায়ের মণ্ডপে যান। সেই সিঁদুর কৌট থেকে কিছুটা সিঁদুর মায়ের চরণে ছুঁইয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরুন। এবং সেই সিঁদুর সারা বছর পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ব্যবহার করুন।
- দশমী পুজো হয়ে যাওয়ার পর মায়ের ঘট থেকে একটি পদ্মফুল তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরুন। এবার সেই ফুলটি একটি হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোনে ঝুলিয়ে রেখে দিন।
- দশমীর দিন একটি বেসনের লাড্ডু কোনও কালো কুকুরকে খাওয়ান।
- দশমীর দিন সকালে ভগবান রামের মন্দিরে গিয়ে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
- দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের পর রাতে একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পূর, একটি পান এবং অল্প গো-চোনা নিয়ে সেগুলি ভালো করে বেটে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। এরপর ওই মিশ্রনটি ঠাকুরের আসনের পাশে রেখে সারা রাত একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকাল থেকে পরপর সাতদিন ধরে সেই মিশ্রণটির টিকা কপালে পরুন। আপনার অর্থভাগ্য ভালো হবে।