নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সাহিত্য থেকে সমাজসেবা-বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চলতি বছর দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও দুই প্রতিষ্ঠানকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করছে বাংলাদেশ সরকার। আজ রবিবার সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। চলতি বছরে একুশে পদক প্রাপকের মধ্যে রয়েছেন শিল্পী কনক চাঁপা চাকমা, আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা শিমুল ইউসুফ। সমাজসেবার ক্ষেত্রে একুশে পদক পাচ্ছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত করা হচ্ছে জাতীয় জাদুঘরকে।
১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছরই ভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভূষিত করে বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রক। প্রথম বছর পদক পেয়েছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত জসিমউদ্দিন আহমেদ ও বেগম সুফিয়া কামালও দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। গত বছর ২০২২ সালে মোট ২৪ জনকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। আর এ বছর ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পদক প্রাপকরা নগদ চার লক্ষ টালা সাম্মানিক, ৩৫ গ্রামের সোনার পদক ও একটি সম্মাননাপত্র পান।
এদিন সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভুষিত করার কথা জানানো হয়েছে তাঁরা হলেন, খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর), হাজী মো. মজিবর রহমান, মাসুদ আলী খান, শিমুল ইউসুফ, মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম, ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নওয়াজীশ আলী খান, কনক চাঁপা চাকমা, মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), ড. মো. আবদুল মজিদ, প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), মো. সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর), আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) ও ড. মনিরুজ্জামান (মরণোত্তর)। যে দুই প্রতিষ্ঠান ‘একুশে পদক’ পাচ্ছে সেগুলি হলো বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও জাতীয় জাদুঘর।