নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। অথচ সেই উর্দিধারী পুলিশই মাঝরাতে ডাকাত সেজে সাধারণ মানুষের ওপরে লুটপাঠ চালাত। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সতীর্থদের হাতেই শেষ পর্যন্ত পাকড়াও হতে হয়েছে গুণধর পুলিশ কর্মীদের। আপাতত শ্রীঘরেই ঠাঁই হয়েছে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মীর। আর উর্দিধারী হয়েও আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকায় তিন জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর জোনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার আসমা আক্তার সোনিয়া জানান, গত পয়লা এপ্রিল বিমানবন্দর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পৌঁছয়, রাতে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের লুটের উদ্দেশে পুলিশ বক্সের বাইরে মাইক্রোবাস নিয়ে অপেক্ষা করছে ডাকাত দল। ওই খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশেষ দল। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তিন জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি হাতকড়া, লেজার লাইট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ধৃত তিন জনকে জেরা করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বিমানবন্দর থানার আধিকারিকদের। জেরায় তিন জন জানান, তাঁদের নাম রবিউল বেপারি, উজ্জ্বল চন্দ্র বর্মন ও মোহাম্মদ আজাদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিএমও) কর্মরত। পুলিশের কনস্টে্বল পদে চাকরির পাশাপাশি ডাকাতি চক্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত। মাঝ রাতে বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীরা বিমানবন্দরের বাইরে আসার পরেই হামলা চালিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতেন। গ্রেফতার তিন কনস্টেবলকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে উজ্জ্বল বর্মন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের পিএমও বিভাগের উপকমিশনার