নিজস্ব প্রতিনিধি: মা ও শিশুর সম্পর্ক গাঢ় হয় মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় থেকেই। কোনও সদ্যোজাতর কাছে (সে মানুষ হোক বা কোনও বন্যপ্রাণ) মাতৃদুগ্ধ বা ব্রেস্টমিল্ক অপরিহার্য্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করানোর অভিজ্ঞতা প্রতিটি নারীর কাছেই অত্যন্ত বিশেষ মুহূর্ত। তাই প্রত্যেক মা-ই চান এই মুহূর্তগুলো যেন চিরস্থায়ী হয়। কিন্তু একটা সময় পর আর কোনও মায়ের বুকে দুধ তৈরিই হয় না। কিন্তু জানেন ওই মাতৃদুগ্ধ বা ব্রেস্টমিল্ক দিয়েই তৈরি করা যায় বহুমূল্য গয়না। যা আপনি সারাজীবন আগলে রেখে দিতে পারবেন। এমনটাই করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলমা পার্তিদা। তাঁর মেয়ে অ্যালেসাকে ১৮ মাস স্তন্যপান করানোর পর, মাতৃদুগ্ধ বা ফর্মুলার শেষ বিন্দু আগলে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? শুরু হয় ইন্টারনেটে খোঁজ, পেয়েও গেলেন উপায়।
সোশ্যাল মিডিয়া হাতড়ে তিনি খুঁজে পেলেন একটি সংস্থার বিশেষ ইনস্টাগ্রাম পেজ। যেখানে তিনি জানতে পারলেন নির্দিষ্ট ঠিকানায় মাতৃদুগ্ধ পাঠিয়ে দিলে তা দিয়েই বিশেষ ধরনের গয়না বানিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে ব্যাপারটা ঠিক কী সেটা না বুঝেই আলমা ঝুঁকি নিয়ে ১০ মিলি মাতৃদুগ্ধ ওই ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। কিছু দিনের মধ্যেই কিপসেকস বাই গ্রেস নামের ওই জুয়েলারি সংস্থা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় দুধ সাদা একটি হার্ট শেপড পেন্ডেন্ট। যা দেখে কার্যত হয়ে যান ওই মার্কিন মহিলা। আলমার কথায়, ‘মাতৃত্বের পথচলা শুরু হওয়ার মুহূর্তগুলি খুবই সুন্দর।খুবই বিশেষ। সেই কারণেই ফর্মুলার শেষ বিন্দু পাঠিয়েছিলাম ওই গয়না তৈরির জন্য। দুর্দান্ত কায়দায় মাতৃদুগ্ধের শেষ বিন্দুটি আগলে রেখেছে ওই সংস্থা। পরম যত্নে ওই পেন্ডেন্ট বানিয়ে দিয়েছে তারা’।
জানা যাচ্ছে, কিপসেকস বাই গ্রেস নামের ওই মার্কিন জুয়েলারি সংস্থা ব্রেস্টমিল্ক থেকেই নানা রকম জুয়েলারি তৈরি করে থাকে। ওই সমস্ত ব্রেস্টমিল্ক জুয়েলারির দাম ৬০ থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত হয়। সংস্থার দাবি, হার, আংটি, ব্রেসলেট সবকিছুই কিন্তু মাতৃদুগ্ধ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে সোনার গুঁড়ো, ফুলের পাপড়ির গুঁড়ো বা প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা হয়। সংস্থার কর্নধারের দাবি, মাতৃত্ব উদযাপন করার ক্ষেত্রে মায়েদের সাহায্য করাই আমাদের কাজ। ব্রেস্টফিডিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আগলে রাখতে সাহায্য করি আমরা।