নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গি, উগ্রপন্থীদের চাপে পড়ে গ্রামের মানুষদের হাতে তুলে নিতে হয়েছিল রাইফেল বা বন্দুক। তবে সেই অভিশপ্ত সময় পার করে আজ এই গ্রাম স্বনির্ভর। যেন রূপকথার উত্তরণ। কারণ এখন অসমের কোকড়াঝোড়ের সেই ময়নাগুড়ি গ্রামই তাঁতিদের জন্য বিখ্যাত। ভারত-ভুটান সীমান্তের এই গ্রাম এখন পরিচিত তন্তুবায়দের গ্রাম বা hub of weavers হিসাবে। কীভাবে সম্ভব হল এই উত্থান? আসুন সেই গল্পই জানাই আপনাদের।
কোকড়াঝোড় থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ময়নাগুড়ি গ্রাম। আগেই বলেছি এই গ্রাম ভারত-ভুটান সীমান্তের কাছে। গ্রামের ৬৬টি পরিবারের বাসিন্দারা মূলত আদিবাসী রাভা জনজাতির। বর্তমানে এই গ্রামের সব পরিবারেই তাঁত পাবেন। আজ তাঁত বুনেই এই গ্রামের মানুষ ভালো টাকা রোজগার করছেন। কিন্তু কয়েক বছর আগেই এই এলাকায় ছিল উগ্রপন্থীদের উৎপাত। নিত্যদিন কোকরাঝড়ে খুনখারাপি লেগেই থাকতো। কিন্তু আজ এখানেই ফুল ফুটেছে থুড়ি তাঁত বস্ত্র তৈরি হচ্ছে।
এখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, যখন এখানে জঙ্গিরা শাসন করত সেই সময়ে আমাদের দুঃখের শেষ ছিল না। আমাদের কোনওরকমে বেঁচে থাকার জন্যও কঠিন লড়াই করতে হত। কিন্তু এখন তাঁত বুনে আমরা সবাই ভালো আয় করছি। এখানকার মহিলারাও মাসে ৫-৬ হাজার টাকা আয় করেন তাঁত বুনে। অর্থাৎ, একেকটি তাঁত থেকে এই আয় হয়, পরিবারের আয় আরও বেশি। দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এখন নিয়মিত আসেন এখানকার হ্যান্ডলুম সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। সবমিলিয়ে একটি গ্রাম আজ এতটাই বিখ্যাত হয়েছে, যে তা গোটা দেশের কাছেই রোল মডেল হয়েছে।