নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে গুজরাতের সৌরাষ্ট্র আর কচ্ছ উপকূলে প্রবল বৃষ্টি চলছে। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে বিভিন্ন এলাকায়। আর তাতে কার্যত বিপর্যস্ত জনজীবন। তার মধ্যেই প্রাণহানির খবর মিলতে শুরু করেছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভাবনগরে। গিরিখাতে আটকে পড়া পোষ্য ছাগলদের বাঁচাতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের। সেই সঙ্গে ২২ টি ছাগল ও একটি ভেড়ারও মৃত্যু ঘটেছে।
কচ্ছ জেলার ভাবনগরের রাজস্ব আধিকারিক এস এন ভালা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ এর প্রভাবে এলাকায় শুরু হয়েছিল ব্যাপক বৃষ্টি।আর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সিহোর শহরের কাছাকাছি অবস্থিত ভান্ডার গ্রামের একটি গিরিখাতে প্রচুর জল জমে ছিল। প্লাবনের কারণে ওই গিরিখাতে আটকে পড়েছিল পোষ্য ছাগলের দল। প্রিয় পোষ্যদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন রামজি পারমার (৫৫) ও তাঁর ছেলে রাকেশ পারমার (২২)। কিন্তু জলের তোড়ে দুজনেই ভেসে যান। গিরিখাতের খানিকটা দূরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। সেই সঙ্গে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ২২টি ছাগল ও একটি ভেড়ারও মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলে আঘাত হানার পরে কয়েক ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে রাজস্থানের দিকে চলে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। তবে ওই তাণ্ডবে কারও প্রাণহানির খবর না পাওয়া গেলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় ৯০০-র বেশি গ্রাম গত কয়েক ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন।