নিজস্ব প্রতিনিধি: চুয়াড় বিদ্রোহ বললে একাধিক জায়গার সঙ্গে উঠে আসে লালগড়ের নামও। প্রাচীন প্রসাদ ও মন্দিরে ঘেরা এই লালগড়। তবে হয়নি সংরক্ষণ। প্রাসাদে নয়, বর্তমান রাজা থাকেন ছোট্ট বাড়িতে। জৌলুস আর নেই। আছে দারিদ্র। আজও টিকে আছে ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রাচীন রথযাত্রা (RATHA YATRA)।
সাহসরায় রাজবাড়ির কুলদেবতা রাধামোহন জিউ। বাবুপাড়া মন্দিরে তিনি প্রতিষ্ঠিত। রথযাত্রার দিন তাঁকে ও দেবী শ্রীমতিকে নিয়ে আসা হয় রথতলায়। আনা হয় গোবিন্দ, গোপীনাথ, কৃষ্ণ, বলরাম, সাক্ষীগোপাল, অপর ২ শ্রীমতি (উল্লেখ্য, মোট শ্রীমতি দেবীর সংখ্যা ৩) এবং জগন্নাথ, ধাম গৌরাঙ্গ বিগ্রহ।
সকল দেবদেবীর সঙ্গে দেব-দম্পতি রাধামোহন এবং শ্রীমতি চাপেন রথে। চাকা গড়ায় মাসি বাড়ি- হাটচালার দিকে। সাহসরায় রাজপরিবারের এই রথযাত্রা ‘লালগড় রথযাত্রা’ নামেই পরিচিত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭১০ খ্রিস্টাব্দে সূচনা হয় রথযাত্রার। মানে, এই উৎসব ৩১৩ বছরের প্রাচীন। আগের মতো জাঁকজমক না থাকলেও আছে ‘মলিন ঐতিহ্য’। বসে মেলা-ও।
আগে রথ ছিল ১৬ চাকার। উচ্চতা ৬০ ফুট। বর্তমানে, লালগড়ের রথ ৮ চাকার। উচ্চতা ২০ ফুট। উল্লেখ্য, রাধামোহন জিউয়ের মন্দির সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি প্রাচীন। এখানেই আছে কুলদেবী সর্বমঙ্গলার বিগ্রহ।