নিজস্ব প্রতিনিধি: জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই উৎসবে মেতে ওঠার পালা কৃষ্ণনগরের। এবারও হবে না তার ব্যতিক্রম। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অন্যান্য বারের মত কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী ‘বুড়িমা’ এবারেও সাজবেন ১০ কেজি সোনার গয়নায়।
এবছর এই পুজো ২৪৯ বছরে পদার্পণ করল। এই পুজো দেখতে পার্শ্ববর্তী জেলা সহ সমগ্র রাজ্য থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়কাল থেকেই এই চাষাপাড়া বারোয়ারির পুজো চলে আসছে। তবে পুজোর সূচনা থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী।
এই পুজোর মাহাত্ম্য হল, বুড়িমার পুজোর চাঁদা কারোর থেকে চাওয়া হয় না, মানুষ নিজের ইচ্ছায় এসে গয়না বা টাকা দিয়ে যায়। ভক্তদের টাকাতেই হয় মায়ের পুজো। এবছর কমপক্ষে ১০ কেজি সোনার গয়না দিয়ে বুড়িমাকে সাজানো হবে বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি। অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর দর্শন পেতে এবং পুজো দিতে সকাল থেকে সারাদিনই থাকে উপচে পড়া ভিড়। তা সামাল দিতে এবারও কার্যত হিমশিম অবস্থা পুলিশ প্রশাসনের। তবে প্রণামী ও গয়না দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে হয়।
বর্তমানে করোনার জেরে চলতি বছরের জন্য ভার্চুয়াল অঞ্জলিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুজোর পরদিন কৃষ্ণনগরের সমস্ত প্রতিমার বিসর্জন শেষে বুড়িমার বিসর্জন হয়।