আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একেবারে নিয়ম মেনেই চুল কাটতে হবে। না হলেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে এলাকায় সর্বত্র সাঁটিয়ে দিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ভোলা এলাকার চরফ্যাশনের জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায়। চরফ্যাশনের জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, ঠিক কী ভাবে চুল কাটতে হবে। এমনকি তার নির্দেশের বাইরে অন্য স্টাইলে চুল কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
ওই বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, ১৪ নং জাহানপুর ইউনিয়নের সকল সেলুন দোকান মালিক ও কারিগরদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, সুন্নতি কাটিং, ডিফেন্স/আর্মি কাটিং ব্যতীত অন্য কোনও কাটিং করা হলে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। তবে মজার বিষয় ওই ‘সুন্নতি কাটিং’ বা ‘আর্মি কাটিং’ কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সোমবার সকালেই এই নির্দেশিকা চরফ্যাশনের জাহানপুর এলাকায় দেখতে পান এলাকাবাসী। এই ধরণের নির্দেশিকা দেখে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জানা যাচ্ছে, এই ধরণের অবাস্তব নির্দেশিকার প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে মারধোর করা হয়েছে। অভিযোগের আঙ্গুল ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি স্থানীয় মুসলিমদের সাথে কথা বলে ২৫ অক্টোবর ওই নোটিশ জারি করেছি। তবে ঠিক করেছি বা ভুল করেছি তা নিয়ে আমি এখন দ্বিধায় আছি’। তবে এই ধরণের নির্দেশিকা নিয়ে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার নোমান রাহুল বলেন, ‘কোনও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই রকম নোটিশ জারি করতে পারেন না। এতে মানুষের ব্যক্তিগত রুচি এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়’। সবমিলিয়ে এই নির্দেশিকা নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা।