নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: হামাস হামলার জবাব দিতে আমেরিকার মদতে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞে মেতেছে ইজরায়েলি জল্লাদ বাহিনী। আর ওই নৃশংস ও ভয়াবহ গণহত্যা গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য চলতি বছরে পুলিৎজার পুরস্কার পেল আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পাশাপাশি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার পেয়েছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ ও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’।
পুলিৎজার পুরস্কার সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘নোবেল’ পুরস্কার হিসাবেই পরিচিত। ১৯১৭ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসা হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সঙ্গীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিবছর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বোর্ড পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে। গতকাল সোমবার চলতি বছরের পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। গত বছরের মতো চলতি বছরেও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের জয়জয়কার লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত বছর রুশ-ইউক্রেন যুদধের ভয়াবহতা তুলে ধরে একাধিক বিভাগে পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি।
‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন রয়টার্সের আলোকচিত্রীরা। তার মধ্যে আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের ঝুলিতে গিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার। মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিল। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে রয়েছেন সন্তানহারা মা। টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স, নিউরালিংক ও টেসলার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। মার্কিন মুলুকে লাগাতার চলা বন্দুক হানা দিয়ে বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলা, ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ও পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।