নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: তিনি আর বাকি পাঁচ নেতার থেকে ভিন্ন। তাঁর সতীর্থদের হাতে-পকেটে যখন একাধিক সেল ফোন, তখন ফোন হীন তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভরসা তাঁরই ব্যক্তিগত সহকারী। ওই ব্যক্তিগত সহকারীর ফোনেই দলের নেতা-কর্মী থেকে প্রয়োজনীয় সবার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আর কেউ নন, কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর সময়েই একাধিক জনমুখী সামাজিক প্রকল্প চালু করে কন্নড়বাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন পঁচাত্তর বয়সী রাজনেতা। একসময়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার জেডিএসে ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু দেবেগৌড়া পুত্র এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে মতভেদের কারণেই দল ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখান। ২০১৮ সালে কুমারস্বামীর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গঠনকে ভালোভাবে মেনে নেননি। কর্নাটকের রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার ভাঙার পিছনে অণুঘটকের মতোই কাজ করেছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। জেডিএসকে রাজনৈতিকভাবে খতম করতেই জোট সরকারের পতনের জন্য কাজ করেছেন।
সেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ নেতাকেই কেন ফের কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাল? হাত শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সিদ্দারামাইয়া যেমন কন্নড়বাসীর কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়, তেমনই তাঁর ভাবমূর্তিও স্বচ্ছ। পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সাধারণ মানুষের স্বার্থে যে কাজ করেছিলেন তার রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে দলের ঘরে এসেছে। তাছাড়া ঠাণ্ডা মাথার মানুষ, প্রশাসনিক দক্ষতাও রয়েছে। সর্বোপরি প্রযুক্তির যুগে ফোন ছাড়া একজন মানুষ কীভাবে লক্ষ-লক্ষ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে পারেন, তার আদর্শ উদাহরণ।’