এই মুহূর্তে




অভিনয় ছেড়ে সন্ন্যাসিনী, নুপূর অলঙ্কার এখন ‘পীতাম্বর মা’, চেনেন এই অভিনেত্রীকে?

নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনয় ছেড়ে সন্ন্যাসিনী হলেন নুপূর অলঙ্কার। জীবনের উপর সমস্ত মায়া কাটিয়ে সন্ন্যাস হিমালয়ে পাড়ি দিয়েছেন ‘শক্তিমান’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন তিনি। অনেক জনপ্রিয় ধারাবাহি ক উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। ‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া হাই কিজো’, ‘ঘর কি লক্ষ্মী বেটিয়া’, ‘দেবযানী সমর পান্ডে’, ‘ইয়ে প্যায়ার না হোগা কাম মিসেস শুক্লা’-সহ একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছর আগেই শোবিজ ছেড়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন তিনি। জীবনের সব মায়া কাটিয়ে তিন বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ‘পীতাম্বরা মা’ নামে পরিচিত।

প্রতিবেদন অনুসারে, পুর তিন বছর আগে হিমালয়ে চলে গিয়েছেন নুপূর, সেখানে প্রাচীন গুহা এবং আশ্রম পরিদর্শন করেছেন। তখন থেকেই তিনি গুহা, বন এবং উচ্চভূমিতে হিটার বা মৌলিক আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করা শুরু করেছেন। তুষারপাত, ইঁদুরের কামড় সহ্য করেছেন, হিমায়িত তাপমাত্রায় এক মাস ধরে পেটের রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। অর্থাৎ সন্ন্যাসী হয়ে ওঠার জন্যে তিনি সমস্ত বাধাবিপত্তি অতিক্রম করেছেন। তবে এই বছরের শুরুতে তিনি মুম্বই ফিরেছিলেন। এবং নিজের শেখা আধ্যাত্মিক শিক্ষা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। তখনই একটি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি সন্ন্যাসী হয়ে অভিনয়ের থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি কখনই মুম্বই বা চলচ্চিত্র শিল্পকে মিস করেন না। এরপর নিজের নতুন নাম, পীতাম্বর মা সম্পর্কে, তিনি বলেন, পীতাম্বর হল ন্যায়ের দেবীর নাম। তিনি মানুষকে পথ দেখাতে, নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ঐশ্বরিকতার সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করতে মুম্বইয়ে এসেছেন। ১০,০০০-১২,০০০ টাকা দিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকা যায়, সেটাও শিক্ষনীয়।

ভ্রমণের সময় তিনি কীভাবে তার খরচ মেটাতেন, সেই বিষয়ে বলেন, “বস্তুজগৎ থেকে দূরে সরে আসার পর থেকে আমার জীবনে সবকিছু সহজ হয়ে গিয়েছে। আগে বিল, জীবন যাত্রার খরচ, ডায়েটে খরচ মেটাতে হত। দূরে থাকাকালীন আমি মাসে ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার বেতনে কাজ করেছি। ভিক্ষাটন নামে একটি প্রথাও আছে, যা বছরে কয়েকবার পালন করা হয়। আমি ভিক্ষা করি এবং সেই দান ঈশ্বর এবং আমার গুরুর সঙ্গে ভাগ করে নিই। এতে অহংকার ভেঙে যায়। আমি চার-পাঁচ জোড়া কাপড় পরে থাকি গোটা বছরে। যারা আশ্রমে আসেন তারা নৈবেদ্য, কখনও কখনও পোশাকও আনেন, এবং এটাই যথেষ্ট।” অর্থাৎ অভিনেত্রী এখন পুরোপুরি আধ্যাত্মিক জীবনের চলে গিয়েছেন। অথচ শক্তিমান (১৯৯৭), ধারাবাহিকে নুপুরকে কামিনী হিসাবে দেখা গিয়েছিল, যিনি একজন ফিল্ম গসিপ লেখক ছিলেন। এছাড়াও কয়েকটি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘২০২৬-এ স্বাস্থ্য নিয়ে বড় সমস্যায় পড়বেন সলমন’, দুই খানকে নিয়ে জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

বিপাকে পরিচালক এসএস রাজামৌলি, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতে অভিযোগে দায়ের এফআইআর

অ্যানিমালের বাবা! ধুরন্ধরের ট্রেলারে মুগ্ধ নেটিজেনরা

মুম্বইয়ে তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বাবা-মায়ের ৬১তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন ভাইজানের

ধনুশের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কাস্টিং কাউচের অভিযোগ আনলেন তামিল অভিনেত্রী মান্যা আনন্দ

”এই জন্ম থেকে…”, জুবিনের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট স্ত্রী গরিমার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ