এই মুহূর্তে




জানেন বিয়ের পর মহিলারা কেন সিঁদুর পড়ে ? এর নেপথ্যে কী কারণ ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : পুরুষ ও নারীর জীবনে একটি বিশেষ অঙ্গ হল বিয়ে। এই সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পুরুষ ও নারীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েই একজন নারী ও পুরুষ দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পড়েন এবং তারপর থেকে রোজ স্নানের পরে বিবাহিতা মহিলারা তাদের সিঁথিতে সিঁদুর পড়ে থাকেন। এমনকি, কোনও কারণে বিয়ের অন্য কোনও রীতি রেওয়াজ না মানা হলেও শুধুমাত্র সিঁদুর পরিয়েও বিয়ে সম্পন্ন হয়। মনে করা হয় ভারতীয় সমাজে বিয়ের পর মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর পরার প্রথা অন্তত পাঁচ হাজার বছরের বেশি পুরনো। এমনকি স্বয়ং পরমাপ্রকৃতি পার্বতীও স্বামী মহাদেবকে অশুভ শক্তির থেকে রক্ষা করতে সিঁথিতে সিঁদুর লাগাতেন। রামায়ণে রামের দীর্ঘ জীবন ও মঙ্গল কামনার্থে সীতারও সিঁদুর পরার উল্লেখ রয়েছে।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয়, মা লক্ষ্মী এই পৃথিবীতে পাঁচ জায়গায় অবস্থান করেন। তার মধ্যে একটি হল নারীর মাথা বা শির। এই কারণেই মাথায় সিঁদুর পরার প্রথা প্রচলিত হয় বলে অনেকের বিশ্বাস। যে পরিবারে বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে থাকেন, মা লক্ষ্মীর প্রীত হয়ে সেই সংসারে বিরাজ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। লক্ষ্মীর কৃপায় সেই বাড়িতে কখনোও সুখ ও সমৃদ্ধির অভাব হয় না ও সম্পর্কেও কোনও সমস্যা আসে না।

আবার, হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সিঁদুরকে শক্তির প্রতীক মানা হয়। প্রাচীনকাল থেকে বলা হয়, লাল রং সৃষ্টির প্রতীক। লাল রংকে প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তা মানা হয়। তাই ভারতীয় নারীরা একান্ত প্রসাধন হিসেবে সিঁদুরকে প্রাচীনকাল থেকে ধারণ করে আসছেন। নারীর কপালে সিঁদুর সন্তানধারণের ক্ষমতাকে ও তাদের শক্তিকে বর্ণনা করে। এছাড়া হিন্দু শাস্ত্র মতে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেবতা বিরাজমান থাকেন। জনশ্রুতি আছে, স্বয়ং ব্রহ্মা কপালে অধিষ্ঠান করেন। তাই ব্রহ্মাকে সম্মান জানাতে ও তুষ্ট রাখতে বিবাহিত মহিলাদের কপালে সিঁদুর পরা উচিত।

জানা যায়, সেই প্রাচীন কাল থেকেই দাম্পত্য জীবনের সুখ ও স্বামীর মঙ্গল কামনা করেই সিঁথিতে সিঁদুর পরে থাকেন হিন্দু বিবাহিত মহিলারা। বিয়ের পর মহিলাদের কপালে সিঁদুর থাকাকে পবিত্র চিহ্ন বলে মনে করা হয়। বিবাহিত জীবনের নতুন পথে চলা শুরুর করার মুখেই এই সিঁদুর তাঁদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে বলে প্রচলিত ধারণা। মহিলাদের জন্য সিঁদুর হল তাঁদের জীবনে স্বামীর উপস্থিতির চিহ্ন। প্রাচীন কাল থেকে আমাদের সমাজে সিঁদুর মহিলাদের সুখী জীবন, আত্মপরিচয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।

এগুলো ছাড়া, সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতে, সিঁদুর মাথার নার্ভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মহিলারা যেখানে সিঁদুর পরেন, মাথার সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ থাকে। বিয়ের পর যেহেতু মহিলাদের জীবনে নানা সাংসারিক চিন্তা আসে, সিঁদুরের মধ্যে থাকা পদার্থ মাথা ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সিঁদুর মন ও শরীর উভয়ের জন্য খুবই কার্যকরী। তাই সংসারে সুখ- শান্তি- সমৃদ্ধি বজায় রাখতে ও স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে অবশ্যই সিঁদুর পরা উচিত, তবে বর্তমান যুগে সিঁদুর পরা না পরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের নিজস্ব পছন্দ অপছন্দের উপর নির্ভর করে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মীর রূপ, আপনার পায়ে এই চিহ্নগুলো আছে কিনা নিজেই দেখে নিন

কালো প্লাস্টিকের বাসনে খাবার খাচ্ছেন ? আজ থেকেই সাবধান হন…

কমলাকে হারিয়ে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিশ্বের সেরা ১০ মহিলা ধনকুবেরকে চেনেন? রইল তালিকা

মালদায় আমের দেশে এবার ফলছে কমলালেবু

কানাডায় দিন দিন বাড়ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর সংখ্যা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর