নিজস্ব প্রতিনিধি: তীর্থযাত্রীদের জন্য সুখবর, চারধাম যাত্রা আরও সহজ ও সুগম করার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় রেল। আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ঋশিকেষ-কর্ণপ্রয়াগ রুটে রেললাইন পাতার কাজ। লকডাউনে যা কিছুটা স্লথ হয়ে গিয়েছিল, এবার সেই কাজ আরও দ্রুতগতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোস এই রুটে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। খুব শীঘ্রই এই রুটে ট্রেন চালানো হবে। ভবিষ্যতে চারধাম যাত্রা আরও সহজ হবে। উত্তরাখণ্ডে পর্যটন ব্যবসার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষদেরও জীবনযাত্রা বদলে যাবে এই রেলপথ চালু হবে।
ঋশিকেষ-কর্ণপ্রয়াগ রুটে দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে টানেল তৈরি হচ্ছে। রেল প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি ওই নির্মিয়মান টানেল পরিদর্শন করেন। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, টানেলটির দৈর্ঘ্য ১৫.১ কিলোমিটার। এটিই হবে ভারতের দীর্ঘতম রেল টানেল। ঋশিকেষ-কর্ণপ্রয়াগ রুটের রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার। পাহাড়ের গা বেয়ে নির্মীয়মান এই রেলপথে অসংখ্য ছোট-বড় টানেল ও ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। গোটা রেলপথে বহু ধর্মীয় এবং পর্যটন কেন্দ্র পড়বে। এই রেলপথ জুড়বে শ্রীনগর (উত্তরাখণ্ড), রুদ্রপ্রয়াগ, দেবপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, চামোলি, দেরাদুন, পৌঢ়ি গাড়ওয়াল ও তেহরি গাড়ওয়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র।
ঋশিকেষ-কর্ণপ্রয়াগের মধ্যে নির্মীয়মান এই ব্রডগেজ রেললাইনে মোট ১২টি রেলস্টেশন নির্মান হচ্ছে। আর থাকছে মোট ১৭টি টানেল এবং ১৬টি ব্রিজ। পুরো প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে শেষ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের দাবি, এই রেলপথ চালু হয়ে গেলে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের উত্তরাখণ্ডে আসতে আর কোনও সমস্যা হবে না। এখন সড়কপথে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয় একেকটি তীর্থস্থানে পৌঁছতে। কিন্তু রেলপথে অনেক কম সময়ে নিরাপদে পৌঁছনো যাবে।