নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। কাজ হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে। রাজ্যের আবেদনে এতদিনে সম্মত হল কেন্দ্র। মন্ত্রিসভায় মিলেছে অনুমোদন। উল্লেখ্য, বন্যায় শোচনীয় অবস্থায় পড়ে ঘাটাল। ভুগতে হয় পূর্ব ও পশ্চিম দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের। প্রতিবছর পোহাতে হয় অসহ্য যন্ত্রণা। এবার মিলতে চলেছে মুক্তি।
রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আলোচনাতেও। এবার সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, ৬০- ৪০ শতাংশ অনুপাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রসঙ্গত এই ইস্যুতে রাজ্য সেচ দফতর বারবার চাপ দিচ্ছিল কেন্দ্রের ওপর। সংসদে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) এই প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এখনও এই প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে আনা হয়নি এই প্রকল্পকে। এরপরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল ক্ষোভ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বলেছিলেন, কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর আগে রাজ্য তার সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছে। এখন কেন্দ্রের এই প্রকল্পে জোর দেওয়া জরুরি।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারবারব সরব হয়েছিলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর দিল্লি গিয়ে বারবার এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মন্ত্রী ও বিধায়করা। এই ইস্যুতে গঠিত হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দল ডাঃ মানস ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছিল সেই দল। ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা ও কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, ঘাটালের সাংসদ দেব, পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। তারপরেও কেটে গিয়েছিল অনেক দিন। দেব বলেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইস্যুতে শেষ ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির মসনদ দখল। সেই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছিল বেশ। তারপর অবশেষে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার অনুমোদন দেয়। কাজ হবে রাজ্য- কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে।