নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারদিন ধরে অনেক হাঁটাহাঁটি কিংবা কঠোর পরিশ্রমের পরে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের পায়ে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরা তার মধ্যে অন্যতম। রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে কিংবা হাঁটতে হাঁটতেই অনেকেরই পায়ের মাংসপেশিতে সাংঘাতিক টান পড়ে। অনেক সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে কোনও প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও সেই টানের ব্যাথা কমে না, এক টানা কয়েক দিন ধরে থাকে সেই ব্যাথা। শেষে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে কোনওক্রমে পরিত্রাণ মেলে এই ব্যাথার হাত থেকে।
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা এই মাংসপেশিতে টান ধরার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন এবং সেই সঙ্গে ঘরোয়া কিছু উপায়ও দিয়েছেন যাতে খুব সহজেই ব্যাথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে ব্যাথা যদি গুরুতর হয় তাহলে এই সমস্ত ঘরোয়া উপায়ের ওপর ভরসা না করে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা অন্তত এমনটাই মনে করেন। তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট দেখে নিই পেশিতে টানের কারণ এবং তা উপশমের কিছু উপায়।
কারণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পা ছাড়াও দেহের যে কোনও অংশের মাংসপেশিতে টান ধরতে পারে। আসলে মাংসপেশি অতিরিক্ত নাড়াচাড়া করলে, ব্যায়াম বা খেলাধুলো করলে, হঠাৎ ভারী কোনও কিছু ওঠালে, জল কম খেলে, সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের অভাব দেখা দিলে ইত্যাদি কারণে মাসল স্পাজম বা মাংসপেশিতে টান ধরতে পারে। এই সমস্যা খেলোয়াড়, অ্যাথলেটদেরও যেমন হতে পারে তেমনই আবার যারা বেশি বসা কাজ করেন বা কম্পিউটারে বেশিক্ষণ কাজ করেন তাঁদেরও হয়।
করণীয়
– এ রকম অবস্থা হওয়ার যদি দেখেন একদমই নড়াচড়া করতে পারছেন না তাহলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
– সব ধরনের ব্যায়াম বা শারীরিক শ্রম বন্ধ রাখুন।
– এই সময়ে একদম কোনও ভারী জিনিস ওঠানোর চেষ্টা করবেন না।
– যেখানে টান ধরেছে সেই জায়গায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিটের জন্য আইস বা বরফের ব্যাগ দিতে থাকতে হবে।
– আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে আরাম হবে।
– যে অংশে টান ধরেছে সেটা যতটা সম্ভব উঁচু স্থানে বা একটা বালিশের ওপর রাখার চেষ্টা করুন।
যা করবেন না
– প্রথম কয়েক দিন ওই স্থানে গরম পানি বা গরম সেঁক দেওয়া যাবে না।
– আঘাতের স্থানটিতে কোনোভাবেই মালিশ করবেন না।
– ক্ষতস্থানটি স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করতে না পারা পর্যন্ত স্বাভাবিক কাজ করবেন না।