নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবাদ করতে গিয়ে বা প্রতীকি বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কী একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)? প্রশ্ন উঠে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। একই সঙ্গে বিজেপির(BJP) সঙ্গে কিছুটা দূরত্বও তৈরি হয়ে গেল বাংলার বিরোধী দলনেতা। কেননা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) বিরুদ্ধে প্রতীকি বিক্ষোভ, মামলা, প্রতিবাদ এই সব কিছু দল সমর্থন করলেও কমিশনের গেটে লাথি মারা দল সমর্থন করে না। কেননা রাজ্যের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সেই সংস্থার গেটে লাথি মারা কার্যত সাংবিধানিক সংস্থাকে অপমান করারই সামিল।
আরও পড়ুন ভোট প্রদানের হারে কোন জেলা এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে
এদিন শুভেন্দু নন্দীগ্রামে(Nandigram) বসেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল আগেই। একই সঙ্গে বলেছিলেন সন্ধ্যা ৬টার সময়ে কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে তালা দিয়ে আসবেন। কাঁটায় কাঁটায় ৬টায় না হলেও এদিন তিনি ৭টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যান। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির আরও ২ নেতা। সেই সময় কমিশনের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে কমিশনের কার্যালয়ের ভেতরে বেশ কিছু কর্মী ও আধিকারিক ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুবাবুদের দেখেও তাঁরা না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান। এমনকি কমিশনের কার্যালয়ের কোনও আধিকারিক বা কর্মী কেউই এগিয়ে এসে তাঁদের সঙ্গে কোনও কথাও বলেননি। তাঁরা কেন এসেছেন বা কার সঙ্গে দেখা করতে যান সেটাও সেখানে তাঁদের কেউ জিজ্ঞাসা করেননি। কমিশনের কোলাপ্সিবল গেটে আগে থেকেই একটি তালা কেউ বা কারা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। শুভেন্দু সেই সময় কিছুটা রেগে গিয়েই সেই গেটে লাথি মারেন ও গেট ধরে ঝাঁকান। সেই সঙ্গে হুমকিও দেন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে।
আরও পড়ুন উৎসবের মেজাজে নতুন শাড়ি পরে ভোট দিলেন জঙ্গলকন্যারা
শুভেন্দুর সেই কার্যকলাপ সংবাদমাধ্যমের দৌলতে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। মজার কথা শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাউকেই কিন্তু কমিশনের গেটে লাথি মারতে দেখা যায়নি বা গেট ধরে ঝাঁকাতে দেখা যায়নি। এমনকি তাঁরা কোনওরকম হুমকি ধমকিও দেননি। কার্যত সেই সময় তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবেই শুভেন্দুরবাবুর থেকে যেন কিছুটা দূরত্ব তৈরি করে রেখেছিলেন। তাঁদের শরীরের ভাষাই বলে দিচ্ছিল ওই ভাবে কমিশনের গেটে লাথি মারা, গেট ধরে ঝাঁকানো বা কমিশনকে উদ্দেশ্যকে করে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা পছন্দ করছেন না। ঘটনাটি যে বড়সড় বিতর্কের জন্ম দিতে চলেছে সেটা বুঝেই সম্ভবত তাঁরা গোটা বিষয়টিকে থেকে নিজেরা দূরত্ব তৈরি করে নেন। সেই ঘটনা আবার শুভেন্দুর চোখ এড়ায়নি। তাই একসময় দেখা যায় তিনি তাঁদের ওপরেও চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছেন।