নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) প্রচার এখন জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছে শাসক থেকে বিরোধীরা। এই অবস্থায়, নেমে এল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) এক কড়া নির্দেশ। সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেওয়াল লিখন(Wall Campaigning) নিয়ে। আর সেই নির্দেশের জেরে এখন সব থেকে বেশি বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা(Candidates)। কেননা তাঁদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে জোর করে দেওয়াল দখল করে প্রচার চালানোর। সেই সব অভিযোগের জেরেই এবার দেওয়াল লিখন নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দেওয়াল দখলের লড়াই নিয়ে গ্রাম বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কমিশন এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, দেওয়াল লেখা নিয়ে কোনও জবরদস্তি চলবে না। সরকারি সম্পত্তির দেওয়ালে কোনও রকম ভোটের প্রচার চলবে না। লাগানো যাবে না হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানারও। বেসরকারি বাড়ি বা সম্পত্তির দেওয়াল ব্যবহার করতে হলে মালিকের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম’র জন্য ৭০ হাজার আবেদন
বিরোধীদের সমস্যা কোথায়? সমস্যা বাড়ির মালিকের বিনা অনুমতিতে দেওয়ালে প্রচার কাজ করায়। কমিশনের নির্দেশ মেনে এখন তাঁদের সেই সব দেওয়াল লিখনের প্রচার মুছতে হচ্ছে নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে। কেননা কমিশন তাঁদের নির্দেশিকায় জানিয়েছে, দেওয়াল লিখন মুছতে খরচ আদায় করা হবে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের এই নিয়ে চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, বেসরকারি সম্পত্তির দেওয়ালে রাজনৈতিক দল বা ভোটের প্রচার দেখলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছে জানতে চাইতে হবে, অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। যদি থাকে, তা দেখাতে হবে। যদি কেউ অনুমতি না দেখাতে পারেন তবে সেই রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে নোটিস দিয়ে দেওয়াল লিখন মুছে দিতে, পোস্টার-ব্যানার খুলে দিতে বলতে হবে। যদি নির্দেশ কেউ না-মানেন তবে প্রশাসনের তরফেই লিখন মোছা, ফ্লেক্স-ব্যানার খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্যে যা খরচ হবে, তা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই আদায় করতে হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচনের কাজে যুক্ত সব আধিকারিককে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন মমতার প্রকল্পেই আস্থা বাংলার মহিলাদের, মাথা ব্যাথা বিরোধীদের
আর কমিশনের এই নির্দেশেই এখন বিপাকে পড়েছেন বিরোধী দলগুলির প্রার্থীদের। কেননা শাসক দলের দেওয়াল লিখনের আর্জি কার্যত কেউই প্রত্যাখান করেনি। কিন্তু বিরোধীদের তা৬রা জমি দিতে চাইছেন না। মানে বাড়ির দেওয়ালে বা পাঁচিলে, দোকান বা কারখানার দেওয়াল বা পাঁচিলে বিরোধী প্রার্থীদের কার্যত জোর করেই দেওয়াল লিখন করতে হচ্ছে। কিন্তু এখন কমিশনের নির্দেশে সেই সব দেওয়াল লিখনও তাঁদের এখন মুছে ফেলতে হচ্ছে। কেননা কমিশন সেই সব মুছতে যে টাকা হাঁকবে সেই টাকা দেওয়ার থেকে নিজেদের গ্যাঁটের খরচে নিজেদেরই প্রচারের সমর্থনে লেখা দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার খরচ অনেক কম পড়ছে।