নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায়(Bengal) এসেছিল ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Para Military Force)। এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) যাতে সুষ্ঠ ও অবাধ হয় তার জন্য বিরোধীরা প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) ও পরে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশও দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission) ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে। যদিও এত কম বাহিনী নিয়ে ভোট নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা যাবে কিনা তা নিয়ে নানান মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরাও বিষয়টি নিয়ে ফের আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাংলার ৬টি স্পর্শকাতর জেলায় বাড়তি নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটে নয়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের যে ৬টি জেলাকে ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই জেলাগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই ওই ৬টি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি ১ কোম্পানি করে রাজ্যের বিশেষ বাহিনীও দেওয়া হচ্ছে। যে ৬টি জেলায় এই পদক্ষেপ করছে কমিশন সেগুলি হল – বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে রাজ্যে যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে সেই বাহিনীর জওয়ানরা এখন প্রথমে Area Domination ও Route March’র কাজ করবেন। ভোটের প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই এই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই ৬ জেলা ছাড়া কমিশন যদি মনে করে, আরও কোনও এলাকায়, জেলায় বাড়তি কোম্পানি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কমিশন চিঠি লিখবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার সেখানে বাহিনী দেবে। কিন্তু আর কেন্দ্রীয় বাহিনী না আনারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।