নিজস্ব প্রতিনিধি:দল বা কোচ বদল করে কোনও কিছুই হয় না। আসল হল মাঠে নেমে খেলা, এই কাজটি যে দল সঠিকভাবে করতে পারবে তারাই সর্বদা জেতে। শনিবাসরীয় ডার্বি দেখে এই বিষয়টা যেন আরও পরিস্কার হয়ে গেল। না, ফুটবল মাঠে নাম চলে না, চলে বুদ্ধি এবং প্রতিপক্ষের দুর্বলতাকে খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া। আর এই দিকে ফুলমার্কস পেয়েই পাশ করল এটিকে মোহনবাগান। সেই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে ফের একটি ডার্বি জিতে নিল হাবাসের দল। সেই সঙ্গে মেগা ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিকও করে ফেলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আর অন্যদিকে, কুয়োর ব্যাঙ হয়েই থেকে যেতে হল এসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ এবং ফুটবলার বদলেও কোনও লাভ হল না। মানালো দিয়াজের দলের জঘন্য ডিফেন্সকে ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিলেন সবুজ-মেরুনের ফরোয়ার্ডরা। ১২ মিনিটে রয় কৃষ্ণ এবং ১৪ মিনিটে মনবীর সিংয়ের করা গোলের ধাক্কা সামলাতে পারল না লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবটি। যার ফলে ২৩ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোল হজম করতে হল লাল-হলুদকে। যদিও লিস্টন কোলাসোর এই গোলের ক্ষেত্রে বড়সড় ভুল ছিল গোলরক্ষক অরিন্দমেরই। তাঁর জঘন্য আউটিংই তিননম্বর গোল খাওয়ালো রফিক, রাজুদের।
না, হাবাসের দলকে একটি গোলও দিতে পারল না মশাল বাহিনী। উল্টে ৫-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা থেকে বেঁচে গেল তারা। মাথা নীচু করে ডাগ আউটে বসে থাকলেন কোচ মানালো দিয়াজ। তিনি হয়তো আর কোনও রণনীতিই তৈরি করতে পারছিলেন না। ইস্টবেঙ্গলের সকলেই হয়তো অপেক্ষা করছিলেন আর গোল না খেয়ে ম্যাচ শেষ করতে। এরপর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে শেষ হয় লাল-হলুদের আরও একটি বিষাদের ডার্বি। আর বিজয় উৎসবে মাতে সবুজ-মেরুন।