নিজস্ব প্রতিনিধি: অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ জিতল কাতার। শনিবার রাতে দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে কাতারের পক্ষে পেনাল্টি থেকে তিনটি গোল করেন আকরাম আফিফ। ২০১৯ সালেও এএফসি এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কাতার। সেবার ফাইনালে হারিয়েছিল এশিয়া ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসাবে পরিচিত জাপানকে।
শনিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনাল দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়েছিল। ফাইনাল দেখার জন্য হাজির ছিল ৮৬ হাজার ৫০০ জন দর্শক।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।ম্যাচের শুরু থেকেই জর্ডানকে চেপে ধরে কাতার। মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলে নিয়ে জর্ডানের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন আফিফরা। ম্যাচের ২১ মিনিটে ২১ মিনিটে আফিফকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন জর্ডানের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আবদুল্লাহ নাসিব। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আফিফ। প্রথমার্ধের শেষের দিকে কাতারের গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নিয়েছিলেন মুসা তামারি। তবে দুটি শটই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে মাঠ ছাড়ে কাতার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে জর্ডান। তবে অতিরিক্ত পাস খেলতে গিয়ে এবং পায়ে বেশিক্ষণ বল রাখতে গিয়ে তেমন জোরালো আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি। ৬৭ মিনিটে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামত। তবে জর্ডান সমর্থকদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই মিনিট পরেই ফের পেনাল্টি আদায় করে নেয় কাতার। ওই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন আফিফ। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ে ফের পেনাল্টি আদায় করে নেয় কাতার। ওই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন আকরাম আফিফ। প্রতিযোগিতায় আট করে সর্বাধিক গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন তিনি।