এই মুহূর্তে




গোলশূন্য কলকাতা ডার্বি, বাগানকে রুখে দিয়ে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপার কাপে গোলশূন্যভাবেই শেষ হল কলকাতা ডার্বি। তবে তাতে লাভ হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডের। মোহনবাগানকে রুখে দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে অস্কার ব্রুজোর শিষ্যরা। গ্রুপ লিগে দুই দলের সমান সংখ্যক পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

শিল্ড ফাইনালের পর শুক্রবার প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ফলে শিল্ড ফাইনালে হারের বদলা নিতে মারগাওয়ের ফতোরদা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে লাল-হলুদের ফুটবলারেরা। ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত দিয়ে মোহনবাগানের রক্ষণে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লাল-হলুদের মহেশ। তাঁকে রুখে দেন লিস্টন কোলাসো। এর চার মিনিট বাদে ১০ মিনিটের মাথায় রশিদ পাস বাড়িয়েছিলেন হামিদকে। তিনি কোনও সতীর্থকে খুঁজে না পেয়ে নিজেই শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তা তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি বাগান গোলরক্ষক বিশালের। ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণে খানিকটা নড়বড়ে দেখাচ্ছিল সবুজ-মেরুনের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়দের। ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। তবে তাতে লাভ হয়নি। ২৪ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বাঁ পায়ে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন মিগুয়েল। উড়ন্ত বলে হেডও করেছিলেন বিপিন। মোহনবাগানের ভাগ্য ছিল সুপ্রসন্ন। পোস্টে লেগে ফিরে যায়। চার মিনিট বাদে ২৮ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে ক্রস ভাসিয়েছিলেন ক্রেসপো। বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মহেশ। তা গোলের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে সংঘর্ষে জড়ান হামিদ এবং আলবের্তো। রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে গিয়ে অহেতুক হলুদ কার্ড দেখলেন মহেশ। খেলার বিপরীতে গিয়ে ৪০ মিনিটে আচমকাই প্রতি আক্রমণ থেকে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মোহনবাগানের আপুইয়া। তাঁর সেই শট আটকান লাল-হলুদের গোলরক্ষক প্রভসুখন। প্রথমার্ধের শেষের লগ্নে বাঁ দিকের কঠিন কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন মিগুয়েল। কোনও ক্রমে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল। প্রথমার্ধে দাপট দেখালেও খালি হাতেই ফিরতে হয় লাল-হলুদকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলার ছবি খানিকটা বদলায়। দাপটের সঙ্গে খেলতে শুরু করে বাগানের ফুটবলারেরা। যদিও লম্বা পাস বাড়িয়ে লাল-হলুদের রক্ষণে বল ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন আপুইয়া-লিস্টন কোলাসোরা। তবে তা খুব একটা কাজে আসেনি। উল্টে ৬১ মিনিটে জোড়া সুযোগ পেয়েছিল  ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের বক্সের ভেতরে বল পেয়েছিলেন হামিদ। সামনে একা ছিলেন সবুজ মেরুনের গোলরক্ষক বিশাল। তবু সরাসরি তাঁর হাতেই মারলেন হামিদ। বিশাল চাপড় দিয়ে গোলের বাইরে বার করে দেন। পরের মিনিটেই জয় সিংহের হেড বাঁচান বাগান গোলরক্ষক। ৬৯ মিনিট বক্সের সামনে ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। লিস্টনের ফ্রিকিক লাগল লাল-হলুদের খেলোয়াড়দের তৈরি প্রাচীরে। গোলের মুখ খুলতে না পেরে ৭৫ মিনিটে একসঙ্গে তিন বদল করেন বাগান কোচ মোলিনা। রবসন, পেত্রাতোস এবং টাংরিকে নামান। ৭৮ মিনিটে রবসন ইস্টবেঙ্গলের গোলের সামনে চলে এসেছিলেন। সেই আক্রমণ কোনও মতে সামাল দেয় লাল-হলুদের আনোয়ার আলি। ৭৯ মিনিটে জোড়া বদল ঘটান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। বিপিন সিংহ ও আহদাদের পরিবর্তে নামান পিভি বিষ্ণু ও হিরোশিকে। ৮৬ মিনিটে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে চেপে মাঠ ছাড়েন লাল-হলুদ অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো। তাঁর জায়গায় মাঠে নামেন শৌভিক। দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ লগ্নে মহেশকে তুলে নিয়ে এডমুন্ডকে নামান ব্রুজো। সংযুক্তি সময়ের তিন মিনিটে কর্নার আদায় করে নিয়েছিলেন হিরোশি। যদি ওই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইয়ামালের চিকিৎসা নিয়ে বাক বিতণ্ডা, সম্মুখ সমরে বার্সা-ফেডারেশন

দেশে ফিরতে চাওয়া খেলোয়াড়দের পাকিস্তানে থেকে যাওয়ার জন্য হুমকি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের

নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছেন ফিরছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা, সিরিজ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

ইডেনের টেস্টে বাদ পড়ছেন এক ভারতীয় খেলোয়াড়, ইঙ্গিত সহকারী কোচের

ফুটবল থেকে অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন রোনান্ডো

ইডেনে বড় ম্যচের আগে কালীঘাটের মন্দিরে গম্ভীর, দিলেন পুজো

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ