নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: মহম্মদ রিজওয়ানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস গড়ল পাকিস্তান। নির্ধারিত ৪২ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে বাবর আজমরা। আগামী রবিবার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে চাইলে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড অনুযায়ী দাসুন শানাকাদের ২৫২ রান তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি। ফলে ম্যাচ কমিয়ে ৪৫ ওভারের করা হয়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় দল। মাত্র চার রান করে সাজঘরে ফেরেন অফ ফর্মে থাকা ফখর জামান। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজম। জল পানের পরে পাক অধিনায়ককে (২৯) ফিরিয়ে জুটি ভেঙে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দুনিথ ওয়ালালাগে।
দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন শফিক ও মহম্মদ রিজওয়ান। ৬৫ বলে অভিষেক ম্যাচেই অর্ধ শতরান পূর্ণ করেন শফিক। অর্ধ শতরানের পরেই শফিককে (৫২) ফিরিয়ে পাক শিবিরে বড় ধাক্কা দেন মাথিশা পাথিরানা। স্কোর বোর্ডে আট রান জুড়তে না জুড়তেই ফিরে যান মহম্মদ হারিস (৩)। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। কিন্তু ১২ বলে ১২ রান করে মাহিশা তিকশানার বলে সাজঘরে ফেরেন। ২৭.৪ ওভারের পরে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ফের ম্যাচ কমিয়ে ৪২ ওভারের করা হয়। খেলা শুরু হলে ইফতিখার আমেদকে সঙ্গী করে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন মহম্মদ রিজওয়ান। শ্রীলঙ্কার বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজনে। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে ১০৯ রান তোলেন। অর্ধ শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরে যান ইফতিখার (৪৭)। পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক শাদাব খান এদিন ফের ব্যর্থ হয়েছেন মাত্র ৩ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলে পাকিস্তান। রিজওয়ান ৭৩ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর –ইনিংস সাজানো ছিল ছয়টি চার ও দুই ছক্কায়। শাহিন আফ্রিদি এক রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে মাথিশ পাথিরানা তিনটি উইকেট নিলেও ৬৫ রান দিয়েছেন।