নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকাপ চলাকালীনই বড় দুঃসংবাদ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের জন্য। সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের উপরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। ওই শাস্তির কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ভবিষ্যত বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের জঘন্য পারফরম্যান্সের পরেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরকারের সঙ্ঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। গত শুক্রবারই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রণসিঙ্ঘে। কুশল মেন্ডিজদের হতাশজনক পারফরম্যান্সের পরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে জানান তিনি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গার নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রক। যদিও সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বরখাস্ত হওয়া ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালত সরকারের নিয়োগ করা কমিটি বাতিল করে দিয়ে বরখাস্ত হওয়া ক্রিকেট বোর্ডকে পুনর্বহাল করে।
এর পরে ফের শ্রীলঙ্কার সংসদে এক প্রস্তাব পাশ করে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ভেঙে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে সরকারি হস্তক্ষেপ খুব একটা ভাল নজরে দেখেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। এদিন আইসিসির পরিচালকরা বিশেষ বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসিসির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সরকারি হস্তক্ষেপের কারণেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ সাসপেন্ড হওয়ার ফলে আইসিসি আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না পাথুম নিশাঙ্কা-কুশল মেন্ডিজরা।