নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লুকোচুরি খেলা শেষ।
অবশেষে পুলিশের জালে অপহরণ-ধর্ষণে অভিযুক্ত ভারতের জাতীয় স্তরের কুস্তিগীর নরেশ সারাওয়াৎ ওরফে সনু পেহলওয়ান। ২০১৯-য়ে এই বক্সারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়। তারপর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ একবার তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সে একবার পালায়। পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছিল। নরেশকে ঘোষিত অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করে আদালত।
নরেশ কুমারের জন্ম ১৯৮৪-তে। ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়াশোনা। স্কুলে থাকতে থাকতেই সে কুস্তির আখড়ায় যোগ দেয়। জাতীয়স্তরে বেশ কয়েকটি কুস্তি প্রতিযোগিতায় সে অংশ নিয়েছিল। দিল্লির ছত্রাশাল স্টেডিয়ামে অলিম্পিয়ান সুশীল কুমারের সঙ্গে চলত তাঁর অনুশীলন।
সব কিছু বদলে যায় ২০০৫ সালে। কুস্তির আখড়া ছেড়ে সে যোগ দেয় অন্ধকার জগতে। সুপারি কিলার অমিত অরফে বাবলুর সঙ্গে নরেশ শেরাওয়ান্তের পরিচয় হয়। ২০০৬ সালে একটি খুনের ঘটনায় সে জড়িয়ে যায়। খুনের ঘটনায় নরেশ ছাড়াও জড়িত ছিল আরও কয়েকজন। চারজনের নাম পুলিশ জেনেছে। এই চারজন হল অমিত আকা বাবলু, সুরেন্দ্র আকা, সন্দীপ, গুরবচন-সহ বেশ কয়েকজন। ওই বছর ১৬ বছরের একটি মেয়েকে সে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মনজিৎ নামে এক ব্যক্তিকে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা গ্রেফতার করে। মূল অভিযুক্ত নরেশের টিকি ছুঁতে পারছিল না পুলিশ। অবশেষে নরেশ ধরা পড়ায় পুলিশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।